রায়গঞ্জই হল রামপুরহাট, দায় এড়ানোর চেষ্টা তৃণমূলের

ফের অধ্যক্ষ নিগ্রহ। বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও ছাত্র পরিষদ সমর্থকদের আক্রমণে জ্ঞান হারালেন রামপুরহাট কলেজের অধ্যক্ষ শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। কলেজেই প্রাথমিক শুশ্রুষার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। মঙ্গলবারও তাঁকে ঘেরাও করে `রায়গঞ্জ করে দেব` বলে হুমকি দিয়েছিল টিএমসিপি সদস্যরা। সেই খবর গণমাধ্যমকে জানানোয় বুধবার কলেজেই চূড়ান্ত নিগ্রহ করা হয় অধ্যক্ষকে। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বুদ্ধিজীবীরা।

Updated By: Jan 11, 2012, 02:32 PM IST

ফের অধ্যক্ষ নিগ্রহ। মঙ্গলবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও ছাত্র পরিষদ সমর্থকদের আক্রমণে জ্ঞান হারালেন রামপুরহাট কলেজের অধ্যক্ষ শিবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। কলেজেই প্রাথমিক শুশ্রুষার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে। মঙ্গলবারও তাঁকে ঘেরাও করে `রায়গঞ্জ করে দেব` বলে হুমকি দিয়েছিল টিএমসিপি সদস্যরা। সেই খবর গণমাধ্যমকে জানানোয় বুধবার কলেজেই চূড়ান্ত নিগ্রহ করা হয় অধ্যক্ষকে। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বুদ্ধিজীবীরা।

সাহিত্যিক নবারুণ ভট্টাচার্য বলেন, লুম্পেনরাজ চলছে। খোলা গলায় প্রতিবাদ করছি। দোষীদের গ্রেফতার করা উচিত। নাট্যব্যক্তিত্ব কৌশিক সেন বলেন, রায়গঞ্জের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী শিথিল অবস্থান নেওয়ায় এই ঘটনা ঘটল। লেখিকা সুচিত্রা ভট্টাচার্য, ঘটনার নিন্দার ভাষা নেই। ছাত্রছাত্রীরা ভাবলেশহীন দেখে আশ্চর্য লাগছে।
প্রাক্তন উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, এই ঘটনা তৃণমূলের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। রায়গঞ্জের ঘটনা যখন ছোট্ট ঘটনা, রামপুরহাট কলেজে যা হয়েছে তা তো কিছুই নয়। ঘটনার দায় ঝেড়েছেন রামপুরহাটের তৃণমূল বিধায়ক আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। তৃণমূলকে জড়ানোর চেষ্টা চলছে। অধ্যক্ষ নাটক করেছেন। তিনি সিপিএম করেন।
রামপুরহাটের ঘটনায় রায়গঞ্জ কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ দিলীপ দে সরকার বেলন, এসব ঠিক হচ্ছে না। এরকম করলে কেউ শিক্ষকতায় আসতে চাইবেন না।
ঘটনায় রাজ্য সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ঘটনার ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী নিন্দনীয় ভাষা বলছেন। এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হবে। অবস্থার পরিবর্তন করুক সরকার।

.