শীত আসে, শীত যায়, শুধু পড়ে না পুতুল নাচের তাঁবু
একটি সময় ছিল যখন শীতের আনন্দ শুধু বড়দিন আর বর্ষবরণে সীমাবদ্ধ ছিল না। স্কুলের পরীক্ষা শেষে বাবা মা-র হাত ধরে নিক্কো পার্ক, চিড়িয়াখানা ঘুরতে যাওয়া ছাড়াও ছিল অন্য এক বিনোদন জগত্। শীত পড়লেই পুতুল নাচের তাঁবু পড়ত পাড়ায় পাড়ায়। তবে সময়ের নিয়ম মেনেই হয়ত পুতুল নাচের সেই জাঁকজমক আজ অনেকটাই ম্লান।
কয়েক দশক আগের কথা। কোথাও পনেরো দিন তো কোথাও মাস খানেক ধরে চলত পুতুল নাচের প্রিমিয়ার শো। রামায়ণ, মহাভারত কিম্বা আরব্য রজনীর মত হাজারো গল্প উপন্যাসের কাহিনী অবলম্বনে তৈরি চিত্রনাট্য নিয়ে হত পুতুল নাচ। স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে বাবা-মা, ঠাকুমা দিদিমার হাত ধরে পুতুল নাচের আসরে ভিড় জমাতো কচিকাচারা। তবে পুতুল নাচের সেই স্বর্ণালী দিন আজ অতীত। কিন্তু কেন? কি বলছেন এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষরা?
এক সময় শুধু নদিয়া জেলাতেই ছিল দুশোটির উপর পুতুল নাচের দল। আজ তাদের সংখ্যা মুষ্ঠিমেয়। বেড়েছে তেলের দাম, লেবার চার্য। কিন্তু বাড়েনি পুতুন নাচ শিল্পীদের আয়। এই বিলুপ্তপ্রায় শিল্পের সঙ্গে জড়িত মানুষগুলির একটাই আর্তি। সরকার তাঁদের জন্য স্থায়ী ভাতার বন্দবস্ত করুক। নাহলে টকিং টম, হোয়াটস্অ্যাপের যুগে হয়ত সত্যিই বিলুপ্ত হয়ে যাবে পুতুল নাচ।