তোলাবাজিতে যুক্ত তৃণমূলের নেতারা, জানেন মুখ্যমন্ত্রীও: রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য
মুখ্যমন্ত্রী লড়াকু নেত্রী হতে পারেন, কিন্তু কখনই আদর্শ নন। তাই কৃষি দফতরে নিজের ঘরে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি রাখার কোনও প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। সোমবার এক সাক্ষাত্কারে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সদ্য কৃষি দফতর হারানো মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। একইভাবে বলেছেন, ৩ ডিসেম্বর, সিঙ্গুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় যাওয়া খুব প্রয়োজনীয় নয়।
মুখ্যমন্ত্রী লড়াকু নেত্রী হতে পারেন, কিন্তু কখনই আদর্শ নন। তাই কৃষি দফতরে নিজের ঘরে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি রাখার কোনও প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেননি। সোমবার এক সাক্ষাত্কারে এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন সদ্য কৃষি দফতর হারানো মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। একইভাবে বলেছেন, ৩ ডিসেম্বর, সিঙ্গুরে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায় যাওয়া খুব প্রয়োজনীয় নয়। কারণ এইধরনের বৈঠকগুলিতে একতরফা সিদ্ধান্ত হয়। তাছাড়া তাঁকে কী হিসাবে ডাকা হচ্ছে, তার ওপর যাওয়া- না যাওয়া নির্ভর করছে বলেও জানিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।
তোলাবাজিতে যুক্ত তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। মুখ্যমন্ত্রী সবই জানেন। সেকারণেই বারবার সতর্ক করছেন তিনি। সোমবার এই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কৃষি দফতর হারানো মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। চাকরি থেকে শুরু করে ঠিকাদারি, সব ক্ষেত্রেই দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা-কর্মীরা টাকা আদায় করে। এব্যাপারে তাঁর কাছে বিশ্বস্তসূত্রে খবর রয়েছে বলেও জানান রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।
দলের নেতা-কর্মীরা যাতে তোলাবাজির সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত না থাকেন তাঁর জন্য বারবার সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের পরই মুখ্যমন্ত্রী সাবধান করেছিলেন, তোলা আদায় করে দলীয় অফিস বানানো চলবে না। গত দেড় বছরে দলীয় কর্মীদের একাধিক সভায় একই সতর্কবাণী শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। এলাকায় তোলাবাজি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যেও বিবাদও বারবার প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এবার সরকারের খোদ মন্ত্রীই অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা তোলাবাজি ও আর্থিক দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।
কৃষি দফতর হারানো মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের বিস্ফোরক মন্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী সবই খবর রাখেন। সেকারণেই বারবার সতর্ক করছেন তিনি। মন্ত্রীর এলাকার একটি স্কুলের শিক্ষকতার চাকরির জন্য গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতাকে মোটা টাকা দিতে হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য।
তবে রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের যুক্তি, তোলাবাজিকে কখনই প্রশ্রয় দেননা মুখ্যমন্ত্রী। সেকারণেই বারবার নেতা-কর্মীদের সতর্ক করছেন তিনি। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন, তাঁর এলাকাতেই যখন তোলাবাজি চলছে, তা রুখতে কি ব্যবস্থা নিয়েছিলেন প্রাক্তণ কৃষিমন্ত্রী? এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু জানিয়েছিলেন কিনা? এই সব প্রশ্নের উত্তর স্বভাবতই এড়িয়ে গিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য। তবে খোদ মন্ত্রীর, দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে তোলা আদায়ের অভিযোগ নিসন্দেহে চরম অস্বস্তিতে ফেলছে তৃণমূলকে।