উপনির্বাচনে ঘাসফুল ঝড়ে তছনছ পদ্মবন, বিজেপির রাজ্য সভাপতির ভূমিকা প্রশ্নের মুখে
ঘাসফুলের বাংলায় পদ্ম ফোটানোর কৃতিত্ব তিনি দাবি করতেই পারেন। কিন্তু সাফল্যের সেই রেশ দীর্ঘস্থায়ী হল না। উপনির্বাচনে আশানুরূপ ফল না হওয়ায় রাজ্য বিজেপি সভাপতির নেতৃত্বই এখন প্রশ্নের মুখে।
ব্যুরো: ঘাসফুলের বাংলায় পদ্ম ফোটানোর কৃতিত্ব তিনি দাবি করতেই পারেন। কিন্তু সাফল্যের সেই রেশ দীর্ঘস্থায়ী হল না। উপনির্বাচনে আশানুরূপ ফল না হওয়ায় রাজ্য বিজেপি সভাপতির নেতৃত্বই এখন প্রশ্নের মুখে।
রাহুল সিনহার রাজনৈতিক ভবিষ্যত্ কি তবে অনিশ্চিত? লোকসভা ভোটের পর থেকেই ঘাসফুলের সাজানো বাগানে পদ্মঝড়ের শুরু। তারপর হাওয়া জোরদার হয়েছে বিজেপির পালে। পাল্লা দিয়ে উর্দ্ধমুখী রাহুল সিনহার কেরিয়ার গ্রাফও । বসিরহাটের উপনির্বাচনের ফলাফলে তৈরি হয় আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা । কিন্তু বনগাঁ ও কৃষ্ণগঞ্জ উপনির্বাচনে ধাক্কা খেল বিজেপি। এর জেরে দলে ধিকি ধিকি জ্বলতে থাকা রাহুল বিরোধী অসন্তোষ এখন তুঙ্গে।
৩১ মার্চের মধ্যে দলে সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক হয়েছিল ৫০ লক্ষ। কিন্তু এখনও সদস্য সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ২০ লক্ষ। কেন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা যাচ্ছে না ?
নতুনদের দাপটে দলের পুরনো কর্মীরা সাংগঠনিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ। এর দায় কি সভাপতির নয়?
আরএসএসের মতো শক্তিশালী সংগঠন পাশে। তবু জেলায় জেলায় সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি হল না কেন?
শাসক দল ভাঙিয়ে নেতা আনায় তত্পরতা দেখা গিয়েছে। কিন্তু দলে বিভিন্ন স্তরে যোগ্য নেতৃত্ব তুলে আনায় অনীহা কেন?কীসের ভয়?
এখানেই শেষ নয়। বিজেপি মুখী বেশ কিছু সেলিব্রিটির সঙ্গে রাজ্য কমিটির যোগাযোগের অভাব নিয়েও কাঠগড়ায় রাজ্য সভাপতি। ডাকসাইটে এক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে রূপা গাঙ্গুলির মতো অভিনেত্রী, কারও জনপ্রিয়তাকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা হয়নি বলে অভিযোগ। এরপর তৃণমূল ভেঙে কোনও বড় নেতা এলে তাঁর সঙ্গেও কি চলবে এমনই আচরণ? জল্পনা তুঙ্গে। নেতৃত্বে প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন এমন সকলের ক্ষেত্রেই রাহুল সিনহা সমান নিষ্ক্রিয় বলে দলের একাংশের অভিযোগ। অবিলম্বে এবিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপের দাবি উঠেছে। সবমিলিয়ে কঠিন সময়ে দলের কান্ডারী এখন কাঠগড়ায় ।