কেন বন্ধ রামকৃষ্ণপুর কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক?
ষোলো মাস বন্ধ ধরে বন্ধ হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু কী ভাবে এই আর্থিক পরিণতির সামনে এসে দাঁড়ালো রামকৃষ্ণপুর কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক? রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একের পর এক নির্দেশের পরও কীভাবে চলল আর্থিক কেলেঙ্কারি?
ষোলো মাস বন্ধ ধরে বন্ধ হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু কী ভাবে এই আর্থিক পরিণতির সামনে এসে দাঁড়ালো রামকৃষ্ণপুর কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক? রিজার্ভ ব্যাঙ্কের একের পর এক নির্দেশের পরও কীভাবে চলল আর্থিক কেলেঙ্কারি? ব্যাঙ্ক পরিচালনায় আর্থিক দুর্নীতির আঁচ প্রথম পাওয়া গিয়েছিল দুহাজার দুয়ে। ফেরত্ না পাওয়া ঋণের পরিমান ক্রমে বেড়েই চলেছিল রামকৃষ্ণপুর কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের। রাশ টানতে তাই সেবছর চোদ্দই মে ঋণ বন্ধের নির্দেশ দেয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু দুর্নীতি থেমে থাকেনি। এই অভিযোগের সত্যতা কিন্তু পাওয়া গিয়েছিল দুহাজার সাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দেওয়া গোপন তদন্ত রিপোর্টেও। দুর্নীতির অভিযোগ এখানেই থেমে নেই। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ওই রামকৃষ্ণপুর কো-অপারেটিভের যাবতীয় সম্পত্তি বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও তা পিছনের দরজা দিয়ে জলের দরে বিক্রি হয়ে গেছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টে তাঁরও উল্লেখ রয়েছে। বিভিন্ন কারণে ধুঁকতে থাকা কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলির পুনুরুজ্জীবনের জন্য অশোক বন্দ্যোপাধ্যায়ে নেতৃত্বে কমিটি
গড়েছিল আগের রাজ্য সরকার। অভিযোগের তির ডিরেক্টর বোর্ডের ডিরেক্টর বোর্ডের সম্পাদক আশীষ বসুর দিকে। তিনি অবশ্য এসব অভিযোগ মানতে নারাজ। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তদন্ত রিপোর্টে তছরুপের কথা বলা হল ঠিকই, কিন্তু কেন কোনও ব্যাবস্থা নেওয়া হলনা? সরকারই বা কেন কয়েক হাজার আমানতকারীর দুর্দশা দেখেও চুপ করে বসে রয়েছে? এখানেই উঠে আসছে আশীস বসুর রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রশ্নটি। তিনি হাওড়া পুরসভার বর্তমান কাউন্সিলর এবং ডাকসাইটে তৃণমূল নেতা। শুধু আশীষ বসুই নয়, আরও কয়েকজন তৃণমূলের নেতার নাম জড়িয়েছে এই ব্যাঙ্ক দুর্নীতিতে। তবে কি রাজনৈতিক পরিচয়কে হাতিয়ার করেই চলছে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি? উত্তর চাইছেন পঞ্চান্ন হাজার ব্যাঙ্ক আমানকারী।