গাঙনাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব কেন্দ্রের, মুখ্যমন্ত্রীকে 'গো ব্যাক' স্লোগানের প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচী
গাঙনাপুর গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দুদিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারকে। গোটা ঘটনার পর রাজ্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে রিপোর্টে তা জানাতে বলা হয়েছে।
ব্যুরো: গাঙনাপুর গণধর্ষণকাণ্ড নিয়ে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দুদিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে রাজ্য সরকারকে। গোটা ঘটনার পর রাজ্য কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে রিপোর্টে তা জানাতে বলা হয়েছে।
গাঙনাপুর কাণ্ড নিয়ে সোমবার নিন্দার ঝড় ওঠে সংসদে। রাজ্যসভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন সিপিআই সাংসদ ডি রাজা। কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি বলেন যে কোনও প্রান্তেই এ ধরনের ঘটনা ঘটলে দ্রুত কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে রাজ্যগুলিকে। ঘটনাটিকে ন্যক্কারজনক বলে মন্তব্য করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। দোষীদের গ্রেফতার করতে রাজ্য সরকার যথেষ্ট তত্পর বলেও দাবি করেন তিনি।
রানাঘাটে মুখ্যমন্ত্রীকে ঘিরে নজিরবিহীন বিক্ষোভের প্রতিবাদ। আজ রানাঘাটে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে তৃণমূল। রাজ্যের অন্যত্রও প্রতিবাদে নামবে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা।
বিকেল পাঁচটায় তৃণমূলের এই কর্মসূচি। বিক্ষোভের ঘটনায় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। গতকাল বিকেলে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করে হাসপাতাল থেকে বেরোনোর পরই বিক্ষোভের মুখে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩৪ নং জাতীয় সড়কের ওপর তাঁর কনভয় আটকে দেন স্কুলপড়ুয়া ও অভিভাবকরা। মিশনগেট এলাকায় প্রায় ৪৫ মিনিট আটকে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি। পরে পুলিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়। মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় ফেরেন।
ঘটনার জেরে মঙ্গলবার ওই এলাকায় সার্বিক নিরাপত্তার দাবিতে বারো ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে ব্যবসায়ীরা।