ফের জোড়া ধর্ষণকাণ্ডে পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ

হাওড়ার জগাছা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থানায় দু`টি ধর্ষণের ঘটনায় ফের পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠল। দু`টি ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট থানার কর্তব্যরত অফিসারদের বিরুদ্ধে সময়োচিত তত্‍পরতা না দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।

Updated By: Jul 26, 2012, 12:17 PM IST

হাওড়ার জগাছা এবং পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি থানায় দু`টি ধর্ষণের ঘটনায় ফের পুলিসি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠল। দু`টি ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট থানার কর্তব্যরত অফিসারদের বিরুদ্ধে সময়োচিত তত্‍পরতা না দেখানোর অভিযোগ উঠেছে।
সাঁতরাগাছি ব্রিজের নীচে ধর্ষণের ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে এদিনই সাসপেন্ড করা হয়েছে জগাছা থানার এএসআই নির্মলেন্দু ঘোষকে। জগাছা থানার এই কর্তব্যরত অফিসারের গাফিলতিতেই ওই মহিলা রক্তাক্ত অবস্থায় থানায় গেলেও তাঁকে চিকিত্সার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়নি। পুলিসের বিভাগীয় তদন্তে প্রাথমিকভাবে তেমনটাই উঠে এসেছে।
গোটা ঘটনায় পুলিসের কোনও গাফিলতি ছিল কিনা, তা নিয়ে তদন্ত করতে হাওড়া পুলিসের এডিসি সাউথকে নির্দেশ দেন পুলিস কমিশনার। যদিও এই ঘটনায় এখনও অধরা অভিযুক্তরা। এদিকে হাওড়া হাসপাতালে ওই মহিলার বয়ানের ভিডিও রেকর্ডিং করেছে পুলিস। আক্রান্ত মহিলার অভিযোগ, গতকাল ভোরের দিতে সাঁতরাগাছি ব্রিজের তলায় নিয়ে গিয়ে এক দুষ্কৃতী তাঁকে মারধর করে ধর্ষণ করে। ছিনিয়ে নেয় কানের দুলও। তিনি জগাছা থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিস সেভাবে গুরুত্ব দেননি মহিলার কথায়। মহিলাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। সেখানেই অভিযোগ নেয় পুলিস।

অন্যদিকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বিতর্কে জড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিসও। ঘটনাটি ঘটেছে কাঁথি থানার উত্তর গারুয়া গ্রামে। বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে হামলা চালানো ও দুই নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ আনেন ভাড়াটিয়া। বাড়িওয়ালা লুতফর রহমান খানের সঙ্গে ভাড়াটে দিলরুবা বিবির মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। দিলরুবা বিবির দাবি, বাড়িটি ১০ লক্ষ টাকায় তাঁকে বিক্রি করে দিতে রাজি হয়েছিলেন লুতফর রহমান খান। ৬ লক্ষ টাকা অগ্রিমও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পরে বাড়ি বিক্রি করতে অস্বীকার করেন লুতফর রহমান খান। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেন দিলরুবা বিবি। পাল্টা মামলা করেন লুতফর রহমান খান।
অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে দিলরুবা বিবির অনুপস্থিতে বাড়ির মধ্যে ঢুকে হামলা চালায় লুতফর রহমান খান ও কয়েক জন দুষ্কৃতী। তখন বাড়িতে ছিলেন দিলরুবা বিবির কয়েকজন আত্মীয়। হামলা চালানোর পাশাপাশি দুজন নাবালিকাকে মারধর ও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। পরে তাঁদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পরিজনেরা। তাঁদের কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে কাঁথি থানার পুলিস।

.