ডাকাত ধরতে, ফিল্মি কায়দায় পুলিসি অভিযান কাঁথিতে
ডাকাত ধরতে, ফিল্মি কায়দায় পুলিসি অভিযান কাঁথিতে। পুলিস-ডাকাতদল তুলকালাম। কখনও অ্যাডভান্টেজ পুলিস, তো পরক্ষণেই পাল্টা জবাব দুষ্কৃতীদের। প্রায় আধঘণ্টার টানটান উত্তেজনা, ধুন্ধুমার লড়াই। শেষপর্যন্ত পুলিসের জালে ধরা পড়ে দশ ডাকাত। ফেরার দুই।
ওয়েব ডেস্ক: ডাকাত ধরতে, ফিল্মি কায়দায় পুলিসি অভিযান কাঁথিতে। পুলিস-ডাকাতদল তুলকালাম। কখনও অ্যাডভান্টেজ পুলিস, তো পরক্ষণেই পাল্টা জবাব দুষ্কৃতীদের। প্রায় আধঘণ্টার টানটান উত্তেজনা, ধুন্ধুমার লড়াই। শেষপর্যন্ত পুলিসের জালে ধরা পড়ে দশ ডাকাত। ফেরার দুই।
কিছুদিন ধরেই তাণ্ডব চলছিল। দিনেদুপুরে ডাকাতি, যেন জলভাত। বাড়ি, ব্যাঙ্ক, দোকান, বাদ যাচ্ছিল না কিছুই। ঘুম ছোটে পুলিসের। কিছুতেই টিকি ছোয়া যাচ্ছিল না দুষ্কৃতীদের।
কিন্তু শেষপর্যন্ত, অপরাধীরাই ভুলটা করে বসল। কাঁথির সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে একটি মোবাইল ফেলে যায় ডাকাতরা।
টাওয়ার লোকেশনের সূত্র ধরে, পুলিসের হাতে চলে আসে ডাকাতদলের ডেরার ঠিকানা। বেতালিয়ার ওই ডেরায় পুলিস যখন পৌছয়, তখন অঘোরে ঘুমোচ্ছে ডাকাতরা।
বাড়ি ঘিরে ফেলে পুলিস। দুষ্কৃতীরা জেগে যেতেই, অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে পাল্টা হামলা করে। তবে আধঘণ্টার মধ্যেই দশ ডাকাতকে কাবু করে ফেলে পুলিস। বেতালিয়ার ডেরা থেকে লক্ষাধিক টাকার গয়না, আগ্নেয়াস্ত্র, হাইস্পিড মোটর বাইক, কলকাতার নম্বরের একটি প্রাইভেট গাড়ি সহ আরও জিনিস উদ্ধার করে পুলিস। ডাকাতদের জেরা করে উঠে আসে এমন অনেক দোকানের ঠিকানা, যেখানে তারা সোনাদানা বিক্রি করত। কাঁথি থেকেই দুই কারিগরকে গ্রেফতার করে পুলিস। জালে ধরা পড়েছে কয়েকজন স্বর্ণ ব্যবসায়ীও। এরাজ্য ছাড়া, ওড়িশাতেও দাপিয়ে বেড়ানো এই দুষ্কৃতী চক্রের বাকি সদস্যদের খোঁজ চলছে।