সুন্দরবনে সেঞ্চুরি নিশ্চিত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের
সুন্দরবনে শতাধিক বাঘের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হল বনদফতর। বনদফতর এবং ডব্লিউ ডব্লিউ এফ-এর উদ্যোগে ক্যামেরা পাতা হয় সুন্দরবনের তিনটি রেঞ্জে। অন্তত আশিটি বাঘের ছবি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। ন্যাশনাল পার্ক ওয়েস্টে ডব্লিউ আই আই-এর সমীক্ষা এখনও চলছে। বনদফতর মনে করছে, সবমিলিয়ে সুন্দরবনে শতাধিক বাঘের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়াই যায়।
মৌপিয়া নন্দি
সুন্দরবনে শতাধিক বাঘের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হল বনদফতর। বনদফতর এবং ডব্লিউ ডব্লিউ এফ-এর উদ্যোগে ক্যামেরা পাতা হয় সুন্দরবনের তিনটি রেঞ্জে। অন্তত আশিটি বাঘের ছবি ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। ন্যাশনাল পার্ক ওয়েস্টে ডব্লিউ আই আই-এর সমীক্ষা এখনও চলছে। বনদফতর মনে করছে, সবমিলিয়ে সুন্দরবনে শতাধিক বাঘের অস্তিত্ব সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়াই যায়।
দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা ছিল। কারণ দেশের অন্যান্য ব্যাঘ্রপ্রকল্পের তুলনায় সুন্দরবনের চরিত্র ভিন্ন। বাঘের মল পরীক্ষা, বাঘের পায়ের ছাপ, স্যাটেলাইট ট্র্যাকিং সহ বাঘ গণনার সমস্ত পদ্ধতির ক্ষেত্রেই সুন্দরবনে কিছু সমস্যা রয়েছে। ঘন হেতালের জঙ্গল, জোয়ারভাটা, নোনা জলের কারনে কোনও পদ্ধতিই এখানে নির্ভুলভাবে প্রয়োগ করা যায় না। ২০১১ সালের বাঘসুমারি কপালে ভাঁজ ফেলেছিল বন আধিকারিক এবং সুন্দরবনপ্রেমীদের। ওই রিপোর্টে, সুন্দরবনে পচাত্তর থেকে নব্বইটি বাঘের অস্বিত্বের কথা বলা হয়েছিল। সংলরক্ষণবাদীদের একাংশ দাবি করছিলেন, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা তলানিতে এসে ঠেকেছে।
এরপরই বাঘের সংখ্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে বনদফতর এবং wwf ক্যামেরা পাতার সিদ্ধান্ত নেয়। গতবছর ক্যামেরা পাতা হয় দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ডিভিশনে। এবছর সুন্দরবনের তিনটি রেঞ্জ-- সজনেখালি, ন্যাশনাল পার্ক ইস্ট এবং বসিরহাট রেঞ্জে ক্যামেরা পাতে wwf। এই প্রথম সুন্দরবনের কোর অঞ্চলে পাতা হয় ক্যামেরা। প্রতি রেঞ্জে ৫৫ থেকে ৫৭ জোড়া স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরা পাতা হয়েছিল। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত চলে বাঘকে ক্যামেরাবন্দি করার কাজ। এরপর চলে তথ্য বিশ্লেষণ। দেখা যায়, অন্তত আশিটি বাঘ লেন্সবন্দি হয়েছে wwf-এর পাতা ক্যামেরায়। এর পাশাপাশি ন্যাশনাল পার্ক ওয়েস্টে সমীক্ষা চালাচ্ছে wild life institute of india। বনদফতর নিশ্চিত, সুন্দরবনে শতাধিক বাঘের অস্তিত্ব সম্পর্কে। শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্যামেরাবন্দি বাঘের সংখ্যা প্রকাশ করতে চলেছে বনদফতর। সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা নিয়ে ঘোর বিতর্কের মাঝে এই পরিসংখ্যান যথেষ্টই স্বস্তি দিচ্ছে বনকর্তাদের।