মমতার সিঙ্গুর জয় : যে আটটি কারণে সিঙ্গুরে বাম সরকারের জমি অধিগ্রহণ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট
২০০৬ সালে সিঙ্গুরে তত্কালীন বাম সরকারের করা জমি অধিগ্রহণ খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি ভি গোপাল গৌড়া এবং অরুণ মিশ্রর বেঞ্চ আজ এই নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে জমির দখল নিতে হবে। বারো সপ্তাহের কৃষকদের ফিরিয়ে দিতে হবে সেই জমি।
ওয়েব ডেস্ক : ২০০৬ সালে সিঙ্গুরে তত্কালীন বাম সরকারের করা জমি অধিগ্রহণ খারিজ করে দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। বিচারপতি ভি গোপাল গৌড়া এবং অরুণ মিশ্রর বেঞ্চ আজ এই নির্দেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে জমির দখল নিতে হবে। বারো সপ্তাহের কৃষকদের ফিরিয়ে দিতে হবে সেই জমি।
তবে যেসব কৃষকরা ক্ষতিপূরণ পেয়েছিলেন, সেই ক্ষতিপূরণের টাকা তাদের ফিরিয়ে দিতে হবে না। আর যারা ক্ষতিপূরণ পাননি তাদেরও টাকা দিয়ে দিতে হবে। যে আটটি কারণে জমি অধিগ্রহণ খারিজ হয়ে যায়,
১) নিয়ম মেনে টাটা মোটরসের জন্য জমি অধিগ্রহণ করেনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার।
২) জনস্বার্থে টাটাদের জন্য অধিগ্রহণ মানতে পারেননি বিচারপতি গোপাল গৌড়া। তাঁর মতে, সরকার এভাবে বেসরকারি, মুনাফাভোগী সংস্থার জন্য অধিগ্রহণ করতে পারে না।
৩) তবে এ বিষয়ে কিছুটা ভিন্নমত বিচারপতি অরুণ মিশ্রর। তাঁর মতে, শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ হতেই পারে। কিন্তু ২০০৬-এর অধিগ্রহণে বহু ক্ষেত্রেই আইনকানুন মানা হয়নি।
৪) ১৮৯৪-এর অধিগ্রহণ আইন যে ধাপে ধাপে পুরোটা মানা হয়নি তা নিয়ে একমত দুই বিচারপতিই।
৫) বিশেষ করে, জমি অধিগ্রহণ আইনের ৫A ধারায় অনিচ্ছুকদের আপত্তি গুরুত্ব দিয়ে শোনা হয়নি।
৬) অধিগ্রহণের আগে কোনও সার্ভে করা হয়নি।
৭) নিয়ম মেনে নোটিফিকেশনও করেনি সে সময়ের সরকার।
৮) সানন্দে ইতিমধ্যেই ন্যানো কারখানা হয়ে গেছে। ফলে যে উদ্দেশ্যে জমি নেওয়া হয়েছিল তার আর গুরুত্ব নেই। শীর্ষ আদালতের মতে, এ পরিস্থিতিতে কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দেওয়া উচিত সরকারের।