মুক্তি পেলেন মুখ্যমন্ত্রীর `মাও-শিলাদিত্য`
মাওবাদী তকমায় ১৪ দিন জেলে কাটানোর পর অবশেষে মুক্তি পেলেন শিলাদিত্য চৌধুরী। আজই বক্তিগত এক হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করল মেদিনীপুর আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি আনা হয়েছিল সেই ধারা গুলি সম্পর্কে যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেননি সরকারি আইনজীবী।
মাওবাদী তকমায় ১৪ দিন জেলে কাটানোর পর অবশেষে মুক্তি পেলেন শিলাদিত্য চৌধুরী। আজই বক্তিগত এক হাজার টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করল মেদিনীপুর আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলি আনা হয়েছিল সেই ধারা গুলি সম্পর্কে যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেননি সরকারি আইনজীবী। সেকারণেই জামিন দেয় মেদিনীপুর আদালত। তবে তাঁকে সপ্তাহে একদিন বিনপুর থানায় গিয়ে তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দিতে হবে।
ঝাড়গ্রাম আদালত থেকে মুক্তি না মেলায়, মেদিনীপুর জেলা আদালতে শিলাদিত্য চৌধুরীর জামিনের আবেদন করেছিলেন তাঁর আইনজীবী। শুক্রবার বিচারক সমর রায়ের আদালতে মামলার শুনানি হয়। যে জামিন অযোগ্য ধারায় শিলাদিত্য চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল, সেই ধারার যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেননি সরকারি আইনজীবী।
গত ৮ অগাস্ট বেলপাহাড়ির সভামঞ্চ থেকে শিলাদিত্য চৌধুরীকে `মাওবাদী` আখ্যা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও আক্রমণাত্মক ভুমিকায় শিলাদিত্যকে সরাসরি মাওবাদী এজেন্ট বলে অভিহিত করেছিলেন। পুলিশ ১০ অগাস্ট গ্রেফতার করে এবং শিলাদিত্যর বিরুদ্ধে ৩৩২, ৩৩৩, ৩৫৩, ৪৪৭ এবং ৫০৬ ধারায় মামলায় অভিযুক্ত করে। এর মধ্যে প্রথম ৩টি ধারা জামিন অযোগ্য এবং পরের দুটি জামিন যোগ্য। তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কর্মীকে মারধর, কাজে বাধা, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছিল।
কিন্তু ঘটনাস্থলে উপস্থিত চিত্রসাংবাদিকদের ক্যামেরায় যে ছবি ধরা পড়েছিল তা কিন্তু শিলাদিত্য চৌধুরীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলির থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। সেদিন নিরাপত্তাবেষ্টনীর বাইরেই ছিলেন শিলাদিত্য চৌধুরী। উপস্থিত সরকারি কর্মীদের গায়ে হাত তোলা বা মারধরের ঘটনা দূরে থাক, কোনও সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার ছবিও ধরা পড়েনি কোনও ক্যামেরায়। অর্থাত্ শিলাদিত্য চৌধুরীর বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, সেই জনসভায় তেমন কিছুই ঘটেনি। বরং মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ায় উচ্চপদস্থ পুলিসকর্মীরাই শিলাদিত্য চৌধুরীকে নিরাপত্তাবেষ্টনীর ভিতর দিয়ে মঞ্চের পিছন দিকে নিয়ে যান। জিজ্ঞাসাবাদ করে সন্তুষ্ট হয়ে পুলিস তাঁকে ছেড়েও দেয়।