ভোট গণনা চলছে, শিলিগুড়ি মহকুমায় কী দেখা যাবে অশোক ম্যাজিক, এবারও হারলে গদি হারাতে পারেন মন্ত্রী গৌতম
শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে নয়টি আসনে একযোগে চলছে ভোটগণনা। গত শনিবারই এই নয়টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। মহকুমা পরিষদের অধীনে চারটি পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে। মাটিগাড়া, ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি এবং খড়িবাড়ি-এই পঞ্চায়েত সমিতির জন্য চলছে গণনা। ২০১৪-র লোকসভা ভোটের নিরিখে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ৭টি আসনেই এগিয়ে ছিল বিজেপি।
ওয়েব ডেস্ক: শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে নয়টি আসনে একযোগে চলছে ভোটগণনা। গত শনিবারই এই নয়টি আসনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। মহকুমা পরিষদের অধীনে চারটি পঞ্চায়েত সমিতি রয়েছে। মাটিগাড়া, ফাঁসিদেওয়া, নকশালবাড়ি এবং খড়িবাড়ি-এই পঞ্চায়েত সমিতির জন্য চলছে গণনা। ২০১৪-র লোকসভা ভোটের নিরিখে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ৭টি আসনেই এগিয়ে ছিল বিজেপি।
২০০৯-এ শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের দখল নেয় বামেরা। যদিও, পরে দলবদলে তা হাতছাড়া হয়ে যায়। শিলিগুড়ি পুর নিগম দখলের পর শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদেও মর্যাদার লড়াইয়ে অশোক ভট্টাচার্য। মন্ত্রী গৌতম দেবের সঙ্গে তাঁর সেকেন্ড রাউন্ড ডুয়েলের ফল কী হয় তা জানা যাবে আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই। তরাই অঞ্চলের ভোটারদের মধ্যে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার প্রভাব কতটা, বিজেপির সমর্থনই বা কতটা, ভোট গণনায় তাও স্পষ্ট হয়ে যাবে আজ।
দুহাজার নয় সালে মহকুমা পরিষদের সাতটি আসনের মধ্যে চারটি ছিল সিপিএমের। চম্পাসারি-পাথরঘাটা, খড়িবাড়ি, মাটিগাড়া ও বাগডোগরা-গোসাইবাড়ি-এই চারটি আসন ছিল সিপিএমের। কংগ্রেসের দখলে ছিল ফাঁসিদেওয়ার দুটি এবং নকশালবাড়ি আসনটি।
দুহাজার নয় সালে খড়িবাড়ি এবং মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতি ছিল বামেদের দখলে। কংগ্রেসের দখলে ছিল নকশালবাড়ি ও ফাঁসিদেওয়া পঞ্চায়েত সমিতি দুটি।
দুহাজার নয় সালে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের অধীনে বাইশটি গ্রাম পঞ্চায়েত ছিল। পঞ্চায়েত সমিতি ছিল চারটি। মহকুমা পরিষদের আসন সংখ্যা ছিল সাতটি। এবার সেই সংখ্যাটাই হয়েছে নয়। নকশালবাড়ি পঞ্চায়েত সমিটির অধীনে ছটি গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি ছিল সিপিএমের দখলে। পাঁচটি ছিল কংগ্রেসের। খড়িবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের দুটি করে ছিল সিপিএম এবং কংগ্রেসের দখলে। মাটিগাড়া পঞ্চায়েত সমিতির পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে তিটি ছিল সিপিএমের। বাকি দুটি কংগ্রেসের। ফাঁসিদেওয়া পঞ্চায়েত সমিতির সাতটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে চারটি ছিল কংগ্রেসের। তিনটি ছিল সিপিএমের।