পাহাড় থেকে সরানো যাবে না কেন্দ্রীয় বাহিনী, কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছে রাজ্য
পাহাড় থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে নিতে চায় কেন্দ্র। এই মর্মে ইতিমধ্যেই রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছে রাজ্য। পাহাড় থেকে এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। এই আশঙ্কা জানিয়ে আজই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
পাহাড় থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে নিতে চায় কেন্দ্র। এই মর্মে ইতিমধ্যেই রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে বেজায় চটেছে রাজ্য। পাহাড় থেকে এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরালে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। এই আশঙ্কা জানিয়ে আজই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
চলতি মাসেই পাহাড় থেকে ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী সরিয়ে নিতে চায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এ নিয়ে রাজ্যকে চিঠিও পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। আর এতেই চটেছে রাজ্য সরকার। কারণ, যেকোনও সময় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে পাহাড়। এই আশঙ্কা কার্যত তাড়া করে বেড়াচ্ছে প্রশাসনকে। বিশেষত, মঙ্গলবার মোর্চা সভাপতির আক্রমণাত্মক মন্তব্য চিন্তা বাড়িয়েছে রাজ্যের।
মোর্চা সভাপতির ডাকে অগণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু হলে কীভাবে তা সামাল দেবে রাজ্য সরকার? কপালে গভীরতর হচ্ছে চিন্তার ভাঁজ। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনীও যদি না থাকে, তাহলে কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া। এই যুক্তি দেখিয়েই তাই শুক্রবার কেন্দ্রকে চিঠি দিচ্ছে রাজ্য সরকার। বাহিনী না সরানোর জন্য অনুরোধ জানাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। পাহাড় ইস্যুতে মোর্চ নেতারা দিল্লিতে দরবার করায় এর আগে ক্ষোভ চেপে রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপাক্ষিক চুক্তিতে সামিল কেন্দ্রও। তাই পাহাড় অশান্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার যে কোনওভাবেই নিজের দায় এড়াতে পারে না, সেকথা বারবারই বলে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই অস্থায় বাহিনী সরানোর চিঠিতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সেই ক্ষোভের আগুনেই ঘৃতাহুতি পড়ল বলে মনে করা হচ্ছে।