প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে লন্ডভন্ড রাজ্যের বেশ কিছু জেলা

প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তছনছ হয়ে গিয়েছে আসানসোল, দুর্গাপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।

Updated By: Oct 14, 2013, 12:27 PM IST

প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে রাজ্যের বেশ কিছু এলাকা কার্যত লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তছনছ হয়ে গিয়েছে আসানসোল, দুর্গাপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
রবিবার দমকা ঝড়ে আসানসোলের জামুড়িয়ার পড়াশিয়া কোলিয়ারি এলাকার একটি মণ্ডপ ভেঙে পড়ে। শর্ট সার্কিটের কারণে বিদ্যুত্‍স্পৃষ্ট হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়। আহত হন ছজন।  দোকানঘরের দেওয়াল ধসে পড়ায় গোপালপুরে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। আসানসোল বাজারে একটি দোতলা পুরনো বাড়ি ভেঙে পড়ায় কয়েকজন চাপা পড়ে যান। চারজনকে উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উত্তর আসানসোলের বেশ কিছু মানুষ গাড়ুই নদীর স্রোতে জলবন্দি হয়ে পড়েন।  বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে।  
বর্ধমানের বনকুল গ্রামে প্রায় ২০০ কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে। আহত হয়েছেন তিরিশজন গ্রামবাসী। ঝড়ের দাপটে প্রায় তিরিশটি গবাদি পশু মারা গিয়েছে। প্রায় ধংসস্তূপে পরিণত হয়েছে কাঁকসার বসুধা এলাকা। ঝড়ে ভেঙে পড়েছে বহু বাড়ি। বহু গাছ উপড়ে গিয়েছে। আহত হয়েছেন আঠেরোজন।
প্রবল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিম মেদিনীপুরের বহু গ্রাম। গাছ চাপা পড়ে সুকুমার ঘোষ নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে চন্দ্রকোনা টাউনে। কেশপুর, মেদিনীপুর সদর, চন্দ্রকোনা এক নম্বর ব্লকের শতাধিক বাড়ি ভেঙে পড়েছে। দেওয়াল চাপা পড়ে আহত হন তিনজন।
ঝড়বৃষ্টির জেরে পুরুলিয়ায় বেশকিছু মণ্ডপের তোরণ ভেঙে পড়ে। দেওয়াল চাপা পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক শিশুর। পুরুলিয়ার আঢ়ষা ও পুরুলিয়া দু-নম্বর ব্লকের কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে।
ঝড়বৃষ্টি হয়েছে বাঁকুড়ার বিভিন্ন এলাকাতেও। দিঘায় সমুদ্রে তীব্র জলোচ্ছ্বাস হয়। প্রশাসনের তরফে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে।
 

.