রাজ্যজুড়ে ধর্মঘটে সর্বাত্মক প্রভাব
রাজ্যে সাধারণ ধর্মঘটে স্তব্ধ হল জনজীবন। কলকাতা সহ শহরাঞ্চলগুলিতে সকাল থেকে সরকারি বাস ও অন্যান্য পরিষেবা চোখে পড়লেও সার্বিক ভাবে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নামেননি।
রাজ্যে সাধারণ ধর্মঘটে স্তব্ধ হল জনজীবন। কলকাতা সহ শহরাঞ্চলগুলিতে সকাল থেকে সরকারি বাস ও অন্যান্য পরিষেবা চোখে পড়লেও সার্বিক ভাবে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নামেননি।
তবে শিল্পাঞ্চলগুলিতে ধর্মঘটের ভালই সাড়া পড়ল। তারাতলা, হাওড়া, আসানসোল এবং ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে হাজিরার হার ছিল বেশ কম। তারাতলা শিল্পাঞ্চলে সরকারি বাস চললেও বেশিরভাগ মানুষই কাজে আসেননি। প্রভাব পড়েছে আসানসোলের কলকারখানাগুলিতেও। বেশ কয়েকটি কারখানার সামনে পিকেটিং করতেও দেখা গিয়েছে। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে। সেখানেও বেশিরভাগ মানুষই কাজে যোগ দেননি। হাওড়ার বেলিলিয়াস এবং দাসনগর শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা বন্ধ ছিল। এই শিল্পাঞ্চলের বড় কারখানাগুলিতে মিশ্র প্রভাব পড়েছে। হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে ধর্মঘটের ফলে কর্মজীবন ব্যাহত।
ধর্মঘটে সামিল হয়েছে বিমা ও ব্যাঙ্কিং সংস্থাগুলিও। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে বন্ধ পোস্ট অফিস, রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের সামনে বিক্ষুব্ধ কর্মীদের স্লোগান। এমনকী, বাদ নেই এয়ার ইন্ডিয়ার দফতরও।
অন্যদিকে, সাধারণ ধর্মঘটের মোকাবিলায় সার্বিক ভাবে মাঠে নামে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ধর্মঘটের দিন সরকারি কর্মীদের হাজিরা নিশ্চিত করতে সব পরিবহণই সচল রাখার প্রশাসনিক নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে কড়া বার্তা দেন সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, কেউ যদি ধর্মঘটের দিন কাজে যোগ না-দেন তাহলে তাঁর সার্ভিস ব্রেক হতে পারে। আবার রাস্তায় কেউ ধর্মঘটের সমর্থনে জোর-জুলুম করলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমনীতি, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ, মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ১১টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন একযোগে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নেয়। সামিল হয় কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি-ও। চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বন্ধ, নূন্যতম মজুরি আইনের পরিবর্তন, সব শ্রমিকের অবসরকালীন সামাজিক সুরক্ষা, সব সংস্থায় শ্রমিক সংগঠনের বাধ্যতামূলক নথিভুক্তি সহ একগুচ্ছ দাবিতে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়।