ফের শ্লীলতাহানির ঘটনা বারাসতে
রাজীব দাসের হত্যাকাণ্ডের পরও বদলায়নি ছবিটা। শুক্রবার রাত বারাসত স্টেশনের সামনে ফের ইভটিজিংয়ের শিকার হলেন এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। টিউশন থেকে ফেরার পথে দু-তিনজন দুষ্কৃতী ওই ছাত্রীর পিছু নিয়ে উত্যক্ত করতে থাকে। স্টেশনের কাছে এসে ছাত্রীটি তাঁর বাবাকে ফোন করে।
রাজীব দাসের হত্যাকাণ্ডের পরও বদলায়নি ছবিটা। শুক্রবার রাত বারাসত স্টেশনের সামনে ফের ইভটিজিংয়ের শিকার হলেন এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। টিউশন থেকে ফেরার পথে দু-তিনজন দুষ্কৃতী ওই ছাত্রীর পিছু নিয়ে উত্যক্ত করতে থাকে। স্টেশনের কাছে এসে ছাত্রীটি তাঁর বাবাকে ফোন করে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবাদ করায় দুষ্কৃতীরা তাকে পাল্টা মারধর করে। এরপরই ঘটনাস্থলে উপস্থিত মানুষ দুষ্কৃতীদের ওপর চড়াও হন। তাঁরা রমেশ দাস নামে এক দুষ্কৃতীকে ধরে ফেলেন। তাকে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
নিগৃহীত ছাত্রীর বাবা পুলিসে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিস রমেশ দাস-সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ২০১১-র ফেব্রুয়ারী মাসে বারাসতেই ইজটিজারদের হাত থেকে দিদি রিঙ্কু দাসকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হয়েছিলেন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী রাজীব দাস। এরপর থেকেই মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য এলাকায় পুলিস পিকেট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। কিন্তু শুক্রবারের ঘটনা ফের একবার মহিলাদের নিরাপত্তার পাশাপাশি পুলিসের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলে।
ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় এদিন বারাসত থানায় যান স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। থানার অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। ওই ঘটনায় ধৃত রমেশ দাস ও শুভঙ্কর দাসকে আজ বারাসত আদালতে তোলা হবে। গতকাল রাতে ওই দুই দুষ্কৃতী দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি করে বলে অভিযোগ। ছাত্রীর অভিযোগ, টিউশন থেকে ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা তাঁর পিছু নিয়ে উত্যক্ত করতে থাকে। স্টেশনের কাছে এসে তিনি তাঁর বাবাকে ফোন করেন। বারাসত স্টেশন চত্বরে ছাত্রীর ইভটিজিংয়ের ঘটনার পর রীতিমতো আতঙ্কে মহিলারা। তাঁরা স্পষ্ট জানাচ্ছেন, বারাসতের ওই এলাকা মহিলাদের জন্য মোটেই নিরাপদ নয়।