দলছুট কর্মীদের দলে ফিরিয়ে আনার আহ্বান সূর্যকান্তের

মারের বদলে পাল্টা মারের রাস্তায় না গিয়ে বিরোধীদের বোঝাতে হবে, টানতে হবে নিজেদের দিকে। দলীয় কর্মীদের আজ এই পরামর্শ দিলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। রাজ্যে পালা বদলের পর থেকে রাজনৈতিক হিংসার কারণে খবরে শিরোনামে থাকা বর্ধমানের রায়নায় দীর্ঘদিন পর জনসভা করল সিপিআইএম। সভামঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতার আহ্বান, যেসব মানুষ নানা কারণে বামেদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, বিরোধিতা করছেন। তাঁরাও আদতে গরীব ও মধ্যবিত্ত। সেসব মানুষের আস্থা ফিরে পাওয়াই এখন দলীয় কর্মীদের প্রধান  লক্ষ্য। 

Updated By: Dec 21, 2012, 09:41 PM IST

মারের বদলে পাল্টা মারের রাস্তায় না গিয়ে বিরোধীদের বোঝাতে হবে, টানতে হবে নিজেদের দিকে। দলীয় কর্মীদের আজ এই পরামর্শ দিলেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। রাজ্যে পালা বদলের পর থেকে রাজনৈতিক হিংসার কারণে খবরে শিরোনামে থাকা বর্ধমানের রায়নায় দীর্ঘদিন পর জনসভা করল সিপিআইএম। সভামঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতার আহ্বান, যেসব মানুষ নানা কারণে বামেদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, বিরোধিতা করছেন। তাঁরাও আদতে গরীব ও মধ্যবিত্ত। সেসব মানুষের আস্থা ফিরে পাওয়াই এখন দলীয় কর্মীদের প্রধান  লক্ষ্য। 
রাজ্যে পালাবদলের পর গত দেড়বছরে রায়নায় খুন হয়েছেন দুজন সিপিআইএম কর্মী। বিভিন্ন কারণে মঙ্গলকোট ও রায়না এলাকার  সিপিআইএম কর্মীদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে আড়াই কোটি টাকার জরিমানা।দলীয় কর্মীদের ওপর অত্যাচার ও হেনস্থার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। তাঁর অভিযোগ, গত দেড়বছরে বার বার আবেদন করা হলেও, রায়নায় সভার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। দীর্ঘদিন পর রায়না জনসভা করল সিপিআইএম। সভামঞ্চ থেকে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বিরোধী দলনেতার পরামর্শ, হিংসার বদলে হিংসার পথে না হেঁটে মানুষকে বোঝাতে হবে।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল থামাতেই ব্যস্ত রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন, আর চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন সাধারণ মানুষ।
শুক্রবার রায়নায় সিপিআইএম সভায় আসার পথে বিভিন্ন জায়গায় বাস আটকানো হয়,সমর্থকদের লক্ষ্য করে ছোঁড়া  হয় ঢিল। আহত হন বেশকয়েকজন সমর্থক। এক্ষেত্রেও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই।
কৃষকদের উন্নয়নের আশ্বাস দিয়ে  ক্ষমতায় এসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, ক্ষমতায় আসার দেড়বছর পর, ফসলের দাম পাচ্ছেন না কৃষকরা। সারের দামও আকাশোছোঁয়া।পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, এসব বিষয়ে কোনওরকম হেলদোল নেই প্রশাসনের।

 

.