তৃণমূলকর্মীরা অভিযুক্ত, তাই খুনের মামলা প্রত্যাহার সরকারের
রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ উস্কে ফের খুনের মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বিস্ময়করভাবে খুন ও হামলার মোট চার-চারটি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বীরভূম আদালতে চিঠি দিয়েছে রাজ্যের আইন দফতর। এর জেরে ধাক্কা খেল মুরারইয়ে ফরওয়ার্ড ব্লক কর্মীর খুনের মামলা। যে মামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন ২২জন তৃণমূলকর্মী। গোটা ঘটনায় তাই রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগে সরব হয়েছেন আইনজীবীদের একাংশ।
রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগ উস্কে ফের খুনের মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বিস্ময়করভাবে খুন ও হামলার মোট চার-চারটি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বীরভূম আদালতে চিঠি দিয়েছে রাজ্যের আইন দফতর। এর জেরে ধাক্কা খেল মুরারইয়ে ফরওয়ার্ড ব্লক কর্মীর খুনের মামলা। যে মামলায় অভিযুক্ত রয়েছেন ২২জন তৃণমূলকর্মী। গোটা ঘটনায় তাই রাজনৈতিক পক্ষপাতের অভিযোগে সরব হয়েছেন আইনজীবীদের একাংশ।
২০১০ সালে ১৪ এপ্রিল মুরারইয়ের পঞ্চহর গ্রামে খুন হন ফরওয়ার্ড ব্লক কর্মী মিয়া শেখ। নিহতের স্ত্রীর বয়ানের ভিত্তিতে ২২ জন তৃণমূলকর্মীর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়। ১৪ ই মার্চ ওই মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু তাঁর আগে ১২ মার্চ আইন দফতরের চিঠি পৌঁছয় আদালতে। জানিয়ে দেওয়া হয় ওই মামলা সহ আরও তিনটি মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। স্বামীর হত্যাকারীদের শাস্তি দেওয়ার বিচারপ্রক্রিয়া এভাবে ধাক্কা খাওয়ায় আদালত চত্বরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত মিয়া শেখের স্ত্রী রেক্সোনা বিবি।
শুধু বামকর্মী খুনের ঘটনাই নয়। বীরভূম জেলা আদালতের যে চারটি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার সব কটিতেই হয় বাম কর্মীদের খুন করা বা তাদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। ফলে এই সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট বলেই অভিযোগ করছেন আইনজীবীদের একাংশ।
যদিও রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূলের সমর্থক আইনজীবীরা। এর আগে নদিয়াতেও একইভাবে খুনের মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এভাবে সরকার মামলা প্রত্যাহার করায় হতবাক এলাকার মানুষ।