রাজ্যের ৮টি পুরসভা রয়েছে বিরোধীদের দখলে , তৃণমূলের এখন টার্গেট বাকি পুরসভাগুলোতেও ঘাসফুল ফোটানো

দলবদল। আর সেই চাবিকাঠিতেই গত একমাসে শাসকদলের দখলে এসেছে তিন-তিনটে পুরসভা। রাজ্যে এখনও ৮টি পুরসভা বিরোধীদের দখলে রয়েছে । সেগুলোই কি লক্ষ্য ঘাসফুল শিবিরের? জল্পনা রাজনৈতিক মহলের।  

Updated By: Aug 1, 2016, 03:00 PM IST
রাজ্যের ৮টি পুরসভা রয়েছে বিরোধীদের দখলে , তৃণমূলের এখন টার্গেট বাকি পুরসভাগুলোতেও ঘাসফুল ফোটানো

 ওয়েব ডেস্ক: দলবদল। আর সেই চাবিকাঠিতেই গত একমাসে শাসকদলের দখলে এসেছে তিন-তিনটে পুরসভা। রাজ্যে এখনও ৮টি পুরসভা বিরোধীদের দখলে রয়েছে । সেগুলোই কি লক্ষ্য ঘাসফুল শিবিরের? জল্পনা রাজনৈতিক মহলের।  

আরও পড়ুন- কর্মসংস্কৃতি ফেরাতে উদ্যোগী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 

 হাতে ২১১।  না, একটু ভুল হল। সংখ্যাটা হবে ২১৩। ইতিমধ্যেই দুই বিধায়ক সেরে ফেলেছেন দলবদল। আরও২০ জন নাকি ইতিমধ্যে নাম লিখিয়ে রেখেছেন। তবে, সেদিকে সম্ভবত নজর নেই তৃণমূল নেতৃত্বের । তাদের নজর পুরসভাগুলির দিকে। গত একমাসে ৩-তিনটে পুরসভা দখলে এসেছে ঘাসফুল শিবিরের।
আরও পড়ুন- এখনও যে চারটে জেলায় পিছিয়ে রয়েছে তৃণমূল!

 জঙ্গিপুর পুরসভা

কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে পুরসভা ছিল বামেদের দখলে। ৭ কাউন্সিলর দল বদল করায় পুরসভা এখন ঘাসফুলের

একই হাল জিয়াগঞ্জেও।

জিয়াগঞ্জ পুরসভা

ভোটের রেশ কাটতে না কাটতেই ১১জন কাউন্সিলর যোগ দিলেন তৃণমূলে। কার্যত বিনা বাধাতেই জিয়াগঞ্জও চলে এল ঘাসফুলের দখলে

এবার নজর পুরুলিয়াতে।

ঝালদা পুরসভা

দীর্ঘদিন ঝালদা পুরসভা ছিল কংগ্রেসের দখলে

নজর ছিল শাসকদলের। পরিস্থিতি বুঝেই ১১জন কাউন্সিলরকে নিয়ে দিল্লিতে ৭দিন কাটিয়ে আসেন বিধায়ক নেপাল মাহাত। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ৪ কাউন্সিলর এখন তৃণমূলে। পুরসভা দখলের জন্য অপেক্ষা অনাস্থা ভোটের

উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে তৃণমূল জিততে পারায় নেত্রীর তোপের মুখে পড়তে হয় জেলা নেতৃত্বকে।

কালিয়াগঞ্জ পুরসভা

তৃণমূলের কাউন্সিলরের সংখ্যা ছিল ২। বাকি দল থেকে ভেঙে এসে সংখ্যাটা এখন ১২

 কেন এই দলবদল?  প্রথমে শোনা যাক, তৃণমূলের যুক্তি। তাদের দাবি...কাউকে জোর করে আনা হচ্ছে না। কেউ যদি আসতে চায় তাহলে না বলা হবে কেন? মুখ্যমন্ত্রীর কর্মযজ্ঞে যুক্ত হতে চাইলে স্বাগত।

অধীর চৌধুরীর পাল্টা দাবি... জোর করে ভয় দেখিয়ে কাউন্সিলরদের দল বদল করতে বাধ্য করা হচ্ছে । প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে, তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পরিবারের সদস্যদের। এমন জিনিস এরাজ্যে আগে কখনও হয়নি

বামেরা বলছে, চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে কাউন্সিলরদের ওপর। ফলে দলবদলে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। এতো গেল যুক্তি আর পাল্টা যুক্তি । কিন্তু, সত্যিই কি সন্ত্রাস নাকি লোভ?

 সূত্রের খবর দল বদলের জন্য বেশকয়েকজন কাউন্সিলর সরকারি চাকরি ও ৫০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত পেয়েছেন।  তারপরই নাম লিখিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে।

প্রবনতা যে ভয়ঙ্কর তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য,এভাবে চলতে থাকলে ভোটেরই তো আর কোনও দাম থাকবে না। মানুষ কি রায় দিল সেটা বড় কথা নয়,দল বদল করতে পারলেই দখলে আসছে পুরসভা। এই মুহূর্তে ৮টি পুরসভা রয়েছে বিরোধীদের দখলে , তৃণমূলের এখন টার্গেট বাকি পুরসভাগুলোতেও ঘাসফুল ফোটানো। রাজ্যে বিরোধী কোনও পুরসভা থাকবে না। এমন লক্ষ্যেই কী এগোচ্ছে তৃণমূল?

 

 

 

 

 

 

.