এসআই নিগ্রহ: নির্বিকার প্রশাসন
দিদির রাজ্যে একের পর এক দাদাগিরি। অনুব্রত মন্ডলের বিতর্ক শেষ না হতেই তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাল দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক, শুভাশিষ পাল। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত হুমকি দিয়েছিলেন পুলিসকে বোম মারার পরামর্শ। শুভাশিষ পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল পুলিসকে মারধরের। প্রতিবাদে হরিরামপুর থানার পুলিসকর্মীরা গতকাল থেকে কাজ বন্ধ রেখেছেন।
দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর থানার এসআইকে নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থাই নিল না প্রশাসন। উল্টে নিগৃহীত এসআই সমীর মণ্ডলকেই ছুটিতে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে কর্তব্যরত থাকার সময় হরিরামপুর থানার এসআই সমীর মণ্ডলকে তৃণমূল জেলা সম্পাদক শুভাশিস পাল মারধর করেন বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে কর্মবিরতি শুরু করেন পুলিসকর্মীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে এসডিপিও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। অভিযোগকারী এসআই সমীর মণ্ডল জানিয়েছেন, সেই ঘটনার পর থেকে তাঁকে ও তাঁর সহকর্মীদের ক্রমাগত হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। ফেসবুক পোস্টে সমীরবাবুর অভিযোগ, প্রশাসনের কোনওরকম সাহায্য পাচ্ছেন না তিনি।
হরিরামপুর থানার পুলিসকর্মীকে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল সম্পাদক শুভাশিস পাল। উল্টে পুলিসের বিরুদ্ধে নির্বাচনের সময় পরিকল্পিত সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগ তুলেছেন তিনি। শুভাশিস পাল পাশে পেয়েছেন নিজের দলকেও।
দিদির রাজ্যে একের পর এক দাদাগিরি। অনুব্রত মন্ডলের বিতর্ক শেষ না হতেই তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাল দক্ষিণ দিনাজপুরের তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক, শুভাশিষ পাল। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত হুমকি দিয়েছিলেন পুলিসকে বোম মারার পরামর্শ। শুভাশিষ পালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল পুলিসকে মারধরের। প্রতিবাদে হরিরামপুর থানার পুলিসকর্মীরা গতকাল থেকে কাজ বন্ধ রেখেছেন।
হরিরামপুর থানার দুই পুলিস কর্মীকে কর্তব্যরত অবস্থায় শুক্রবার রাতে তৃণমূল জেলা সম্পাদক মারধর ও অশালীন মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ। ঘটনার পর দুই পুলিস কর্মী থানায় ফিরে কাজ করতে অস্বীকার করে। ঘটনা জানাজানির পরেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অন্য পুলিস কর্মীরা। সন্ধে আটটা থেকে কাজ বন্ধ করে দেন হরিরামপুর থানার সম্স্ত পুলিস। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন এসডিপিও। এসডিপিওর হস্তক্ষেপে সমস্যা মেটে।
পুলিস কর্মীদের অভিযোগ এরআগেও থানায় ঢুকে একাধিকবার কর্মীদের হমকি দিয়েছেন তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক সুভাশিস পাল। চেষ্টা করেছেন রাজনৈতিক প্রভাব খাটানোর । তবে এবারের রোষের কারণ অন্য। হরিরামপুর পুলিস কর্মীদের ধারনা, পঞ্চম দফা ভোটে হরিরামপুর কয়েক জায়গায় পুলিস লাঠিচার্জ করে। লাঠিচার্জে অল্পবিস্তর জখম হন শাসকদলের জনাকয়েক কর্মীও। সেই কারনেই তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদকের রোষে মুখে পড়তে হয়েছে বলে মনে করেছেন হেনস্থার শিকার দুই পুলিস কর্মী।