TOP NEWS: বাবুরবাগানের বাড়ি থেকে উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র
বাবুরবাগানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৯ এম এম পিস্তল। উদ্ধার আরও একটি ৭.৫ এম এমে পিস্তল, প্রচুর কার্তুজ । মিলেছে কওশরের লেখা চিঠি, ডায়ড়ি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পরই ফোন আসে কওশরের কাছে। ফোন পয়েই সঙ্গিসাথী নিয়ে উধাও হয় কওশর।
বর্ধমান: বাবুরবাগানের বাড়ি থেকে উদ্ধার ৯ এম এম পিস্তল। উদ্ধার আরও একটি ৭.৫ এম এমে পিস্তল, প্রচুর কার্তুজ । মিলেছে কওশরের লেখা চিঠি, ডায়ড়ি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের পরই ফোন আসে কওশরের কাছে। ফোন পয়েই সঙ্গিসাথী নিয়ে উধাও হয় কওশর।
এদিন সকালেই খাগড়াগড় ছাড়াও বর্ধমানে আরও দুটি জঙ্গি ডেরার সন্ধান পেয়েছে পুলিস। একটি বাবুরবাগের লিচুতলায় অন্যটি বাদশাহি রোডে। দুটি বাড়ির দরজাতেই বাইরে থেকে তালা লাগানো ছিল। পুলিস ওই এলাকায় কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। ওই দুটি বাড়ি থেকেও নাশকতার ছক তৈরি মনে করা হচ্ছে। বাবুরবাগের বাড়িটির মালিক কাজি আবদুল রেজ্জাক। হাবিবুর শেখ নামে এক ব্যক্তি ওই বাড়িটির দোতালা ভাড়া নেন। ভাড়া মাসে পাঁচ হাজার টাকা। বাড়িতে দুজন পুরুষ ও দু জন মহিলা থাকতেন।
বিস্ফোরণের পর থেকেই তাঁদের খোজ নেই। পুলিস জানিয়েছে বাড়ি থেকে পালাবার আগে বেশ কিছু তথ্য পুড়িয়ে দিয়েছে তারা। পুলিসের অনুমান কাওসরই ভুয়ো পরিচয় দিয়ে এই বাড়িতে থাকত। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন ওই বাড়ির ভাড়টিয়ারা কারও সঙ্গেই যোগাযোগ রাখতনা। প্রশ্ন করলে উত্তর মিলত, বিভিন্ন নার্সিংহোমে তারা অস্ত্রোপাচারের যন্ত্রপাতি সাপ্লাই করত।
বর্ধমান বিস্ফোরণকাণ্ডে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠীর যোগাযোগের সম্ভাবনা আরও জোরালো হচ্ছে। গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে, দুটি ইমেল এবং স্কাইপ আইডি। ধৃত রাজিয়া এবং আমিনাকে জেরা করে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, গোলাপবাগের একটি সাইবার কাফেতে তারা নিয়মিত যেত। সেই সূত্র ধরেই গতকাল রাতে সিআইডি এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তকারীরা অভিযান চালায় ওই সাইবার কাফেতে।
সাইবার কাফের মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি তাঁরা সাইবার কাফের কম্পিউটারগুলির হার্ড ডিস্ক বাজেয়াপ্ত করেছেন। ইন্টারনেট ব্যবহার করে কাদের কাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হোত, তা খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা। প্রয়োজনে সাইবার বিশেষজ্ঞদেরও সাহায্য নেওয়া হতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে। এছাড়াও গতরাতে অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় একটি ডায়েরি। কবে কোন কাঁচা মাল কেনা হোত, তা নিখুঁতভাবে লেখা রয়েছে ওই ডায়েরিতে। গোয়েন্দারা মনে করছেন, ওই ডায়েরি থেকে আরও অনেক সূত্র পাওয়া যেতে পারে।