দুরারোগ্য ব্যধিতে চলচ্ছক্তিহীন, ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন নদিয়ার দুই বোনের
স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন নদিয়ার তাহেরপুরের রমা ঘোষ ও কৃষ্ণা ঘোষ। দূরারোগ্য অসুখে ক্রমশই হাঁটাচলার শক্তি হারাচ্ছেন এই দুই বোন। তাই জীবন থেকে অব্যহতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ তাঁরা। জন্মের পর থেকে ভালই ছিলেন রমা আর কৃষ্ণা।
ব্যুরো: স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানালেন নদিয়ার তাহেরপুরের রমা ঘোষ ও কৃষ্ণা ঘোষ। দূরারোগ্য অসুখে ক্রমশই হাঁটাচলার শক্তি হারাচ্ছেন এই দুই বোন। তাই জীবন থেকে অব্যহতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ তাঁরা। জন্মের পর থেকে ভালই ছিলেন রমা আর কৃষ্ণা।
কিন্তু যখন তাঁদের বয়স বারো-তেরো বছর , তখনই ধীরে ধীরে পা ও হাতের জোর হারাতে শুরু করেন বাদকুল্লার পাটুলির বাসিন্দা এই দুই বোন। এরপর একেবারে অসাড় হয়ে যায় হাত পা। অনেক ডাক্তার বদ্যি করেছেন, কিন্তু কেউই তাঁদের রোগ ধরতে পারেননি।
এখন দুজনেরই বয়স ৩০ নীচে। হুইলচেয়ারে বসেই একজন স্নাতক ও একজন মাধ্যমিক পাশ করেছেন। দুজনেই বাড়িতে টিউশন পড়ান। বাবা দিনমজুর। অভাবকে সঙ্গী করেই সংসার চলে রমা-কৃষ্ণাদের। সাহায্যের জন্য প্রশাসনের সর্বস্তরে আবেদন জানিয়েছিলেন রমা ও কৃষ্ণা। কোনও উত্তর আসেনি।
উপায়ন্তর না দেখে রমা আর কৃষ্ণা চান স্বেচ্ছামৃত্যু। ইতিমধ্যেই তাঁরা চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী,মুখ্যমন্ত্রীকে।
নানা মহলে বিতর্ক চলছে স্বেচ্ছামৃত্যু নিয়ে। পক্ষে বিপক্ষে নানা অভিমত। এসবে গুরুত্ব দিতে নারাজ রমা আর কৃষ্ণা। অভাব আর যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে তাঁরা স্বেচ্ছামৃত্যু চান। এখন সম্মতির অপেক্ষায় দুই বোন।