অগ্নিগর্ভ রসপুঞ্জ, বেপরোয়া গাড়ির তলায় পিষে মৃত্যুমিছিল
অগ্নিগর্ভ রসপুঞ্জ। বিক্ষোভ-তুলকালাম। সকাল থেকে টানা পথ অবরোধ। বেপরোয়া গাড়ির তলায় পিষে মৃত্যুমিছিল। অথচ ২৪ ঘণ্টা পরও মূল অভিযুক্ত ফেরার! এ নৃশংসতা ভোলার নয়। বিচার চাই। ফাঁসি চাই অভিযুক্তের। সোচ্চার এলাকাবাসী। সকাল গড়িয়ে সন্ধে, জারি বিক্ষোভ।
ওয়েব ডেস্ক: অগ্নিগর্ভ রসপুঞ্জ। বিক্ষোভ-তুলকালাম। সকাল থেকে টানা পথ অবরোধ। বেপরোয়া গাড়ির তলায় পিষে মৃত্যুমিছিল। অথচ ২৪ ঘণ্টা পরও মূল অভিযুক্ত ফেরার! এ নৃশংসতা ভোলার নয়। বিচার চাই। ফাঁসি চাই অভিযুক্তের। সোচ্চার এলাকাবাসী। সকাল গড়িয়ে সন্ধে, জারি বিক্ষোভ।
এরা কেউ ভুলতে পারছে না। চোখের সামনে ভাসছে রাস্তায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রক্তাক্ত-প্রাণহীন দেহগুলি। সোমবার ঘটনার পরই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে এলাকা। সেসময় পরিস্থিতি সামলাতে স্থানীয়দের ওপরই লাঠিচার্জ করে পুলিস। আগুনে ঘি ঢেলেছে, পুলিসের এই ভূমিকা। মঙ্গলবার সকাল থেকে পথে এলাকাবাসী। সকাল নটা থেকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রসপুঞ্জ মোড়। গুরুত্বপূর্ণ এই রাজ্য সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে চলে অবরোধ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা। মূল অভিযুক্ত সিরাজুল মোল্লা ওরফে কালু। তারই বেপরোয়া গাড়ি, পিষে বেরিয়ে যায় পাঁচ-ছ বছরের খুদে স্কুলপড়ুয়া, তাদের অভিভাবকদের।
কে সিরাজুল?
রসপুঞ্জ এলাকার নয়, ৩-৪ কিলোমিটার দূরে বনগ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল মোল্লা ওরফে কালু।
রসপুঞ্জে গার্লস স্কুলের সামনে স্কুল শুরু এবং বন্ধ হওয়ার সময় প্রায় রোজই সিরাজুলকে দেখা যেত বলে অভিযোগ।
নিত্যনতুন গাড়ি নিয়ে স্কুলের বাইরে বসে ইভটিজিং, ছাত্রীদের উত্যক্ত করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
মদ্যপ অবস্থায় থাকত সে, বাধা দিতে গেলে চলত সিরাজুলের 'দাদাগিরি'।
আরও পড়ুন- পুলিসি অত্যাচারের অভিযোগে ফুঁসছে ভাঙড়
সিরাজুলের কাকা ইসমাইল শেখ বনগ্রাম এলাকায় তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি। অভিযোগ, তাঁরই নামের জোরে মূলত দাপিয়ে বেড়াত সে।
অবরোধ তুলে নিতে এদিন পুলিস-প্রশাসনের তরফে বারবার বোঝানোর চেষ্টা হয়। ঘটনাস্থলে ছিলেন উচ্চপদস্থ পুলিস কর্তারা। যান প্রশাসনের শীর্ষকর্তারাও। দুর্ঘটনা নয়। আসলে গাড়ির তলায় পিষে এতজনকে খুনই করেছে সিরাজুল ওরফে কালু। বক্তব্য ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের। অথচ পুলিস কিনা লাঠি চালাচ্ছে আক্রান্তদের পরিবারেরই ওপর! এ কেমন বিচার? এ প্রশ্নে ক্ষোভ চরমে পুলিস-প্রশাসনের ওপর।