বৃহস্পতিবার ছিল মরসুমের শীতলতম দিন
আজ মরসুমের শীতলতম দিন। গতকালের তুলনায় তাপমাত্রার পারদ আজ আরও নেমেছে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। প্রবল শীতে কাবু উত্তরবঙ্গও। মালদহে শৈত্যপ্রবাহে গতকাল থেকে মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ মরসুমের শীতলতম দিন। গতকালের তুলনায় তাপমাত্রার পারদ আজ আরও নেমেছে। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। প্রবল শীতে কাবু উত্তরবঙ্গও। মালদহে শৈত্যপ্রবাহে গতকাল থেকে মোট ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদিকে বাঁকুড়ায় তাপমাত্রার পারদ কয়েক ডিগ্রি নেমে আজ ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়িয়েছে। বহু বছর এমন কাঁপুনি ধরা শীত দেখেনি রাজ্য। গত ৬ বছরের পরিসংখ্যান বলছে, ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে তাপমাত্রার পারদ এতখানি কখনও নামেনি। বৃহস্পতিবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০০৫ এর ৩১ ডিসেম্বর তাপমাত্রা নেমেছিল ১২ দশমিক ৮। ২০০৬ এর ৪ ডিসেম্বর তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছিল ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের দাঁড়ি। ২০০৭ এর ৩১ ডিসেম্বর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৪। ২০০৮ এর ২৫ ডিসেম্বর তাপমাত্রার পারদ ঘোরাফেরা করেছিল বারোর আশেপাশে। তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৯। দু বছর আগে ২০০৯ এর সালের তাপমাত্রা টেক্কা দিয়েছিল চলতি বছরের শীতলতম দিন অর্থাত্ ২২ ডিসেম্বরকে। তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৮। তবে তারিখটা ছিল ডিসেম্বরের ২৮। ২০১০ সালে আজকের দিনের তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৩।
বুধবারই আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলা বাঁকুড়া, বর্ধমান, পুরুলিয়া, হাওড়া এবং বীরভূমে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। আর বৃহস্পতিবারই বাঁকুড়ার তাপমাত্রার পারদ একধাক্কায় অনেকখানি নেমে সাত দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াসে দাঁড়ায়। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি প্রবল শীতে কাবু উত্তরবঙ্গও। কনকনে শীতে বুধবার থেকে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে মালদায়। রতুয়া, মানিকচক, ইংরেজবাজার ব্লকে শীতে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ায় জেলা সভাধিপতির নির্দেশ মেডিক্যাল টিম যাচ্ছে এলাকায়।