লকআপের মধ্যেই শ্লীলতাহানি

রাজ্যে নারী সুরক্ষা আরও একবার প্রশ্নের মুখে। তবে রক্ষকই এবার ভক্ষকের ভূমিকায়। লকআপের মধ্যেই এক মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠল। বাধা দিতে গেলে ওই মহিলাকে শিকার হতে হয়ে বেধরড়ক মার। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের ভাতার থানার লকআপে।

Updated By: Oct 4, 2012, 10:41 AM IST

রাজ্যে নারী সুরক্ষা আরও একবার প্রশ্নের মুখে। তবে রক্ষকই এবার ভক্ষকের ভূমিকায়। লকআপের মধ্যেই এক মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ উঠল। বাধা দিতে গেলে ওই মহিলাকে শিকার হতে হয়ে বেধরড়ক মার। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের ভাতার থানার লকআপে। অভিযোগ উঠেছে থানার এক অফিসার সুদীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। গতকাল বর্ধমান জেলা সংশোধনাগারে মেয়েকে দেখতে গেলে মার কাছে গোটা ঘটনাটি খুলে বলেন ওই নিগৃহীতা মহিলা। বিষয়টি নিয়ে মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন নিগৃহীতার মা।  
রাজনৈতিক বিবাদের জেরে ওই আটক  মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমানের ভাতার থানার লকআপে। অভিযোগ, এরপরে সোমবার রাতে লকআপে ঢুকে মহিলার হাত পা বেঁধে তাঁকে ব্যাপক মারধর শুরু করেন সুদীপ ঘোষ । মারের চোটে মাথাও ফেটে যায় ওই মহিলার। ওষুধ দিতে গেলেও তা ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামালাতে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে পাশের লকআপে নিয়ে যান এক মহিলা অফিসার। কিন্তু সেখানেও চড়াও হন সুদীপ ঘোষ। এবার মারধরের পাশাপাশি শ্লীলতাহানির চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। ঘটনাটি জানতে পেরে বর্ধমান-দুর্গাপুরের সাংসদ সইদুল হকের কাছে বিষয়টি সবিস্তারে জানান নিগৃহীতার মা। পরে সংশোধনাগারে গিয়ে নিগৃহীতা মহিলার কাছে ঘটনার বিবরণ শোনেন সাংসদ।
রাজ্যে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির ঘটনা বেড়ে চলায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে দোষীদের শাস্তি হলেও এখনও অধরা অনেক দুষ্কৃতীই। তবে এবার লকআপে আটক মহিলার শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ ওঠায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
 
 

.