কিছু বোঝার আগেই কয়েকশো টন সিমেন্টের চাঙড়ের তলায় চাপা অসংখ্য জীবন!

শহরের বুকে ভয়াবহ উড়ালপুড় বিপর্যয়। ব্যস্ত সময়ে ভেঙে পড়ল পোস্তার বিবেকানন্দ উড়ালপুলের একাংশ। ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে পড়েন অসংখ্য মানুষ। বিকেল পর্যন্ত ২৪ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আহত অসংখ্য।

Updated By: Mar 31, 2016, 08:29 PM IST
কিছু বোঝার আগেই কয়েকশো টন সিমেন্টের চাঙড়ের তলায় চাপা অসংখ্য জীবন!

ওয়েব ডেস্ক: শহরের বুকে ভয়াবহ উড়ালপুড় বিপর্যয়। ব্যস্ত সময়ে ভেঙে পড়ল পোস্তার বিবেকানন্দ উড়ালপুলের একাংশ। ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে পড়েন অসংখ্য মানুষ। বিকেল পর্যন্ত ২৪ জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আহত অসংখ্য।

বৃহস্পতিবারের দুপুর। কর্মব্যস্ত বিবেকানন্দ রোড। অফিস যাত্রী থেকে নানা কাজে শহরে আসা মানুষদের ভিড়ে তখন থিকথিক এলাকা। আচমকাই মাথার ওপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল আকাশ। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই কয়েকশ টন সিমেন্টের চাঙড়ে তলায় চাপা পড়ে গেল অসংখ্য জীবন। দেশলাই বাক্সের মতো দুমড়ে চুমড়ে গেল সারি সারি গাড়ি।

অনেকেই ভেবেছিলেন ভূমিকম্প। হুঁশ ফিরতে বোঝা গেল ভেঙে পড়েছেনির্মীয়মান উড়ালপুলের একাংশ।  বুধবার রাতে উড়ালপুলের ওই অংশে ঢালাইয়ের কাজ চলছিল। সকালে দুর্ঘটনা।

আতঙ্কের প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে দমকলে খবর দেন এলাকার মানুষ। পৌছয় পুলিস ও বিপর্যয় মোকাবিলা টিম। কাজ শুরু করে NDRF-এর দুটি টিমও। কিন্তু, ক্রেন না থাকায় চাঙড় তোলা সম্ভব হয়নি। গ্যাস কাটার দিয়ে গার্ডার কেটে শুরু হয় ধংস্বস্তূপের তলায় পৌছনোর চেষ্টা।

পৌছন দমকলমন্ত্রী জাভেদ খান ও মেয়ক শোভন চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে স্পষ্ট হয়ে যায়  শুধু দমকল বা বিপর্যয় মোকাবিলা টিম দিয়ে উদ্ধার সম্ভব নয়। বাড়তে থাকে ক্ষোভ। প্রবল ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় শোভন চট্টোপাধ্যায়, জাভেদ খানকে।

নির্বাচনী প্রচার কাটছাঁট করে খ়ডগপুর থেকে তড়িঘড়ি ফেরেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্ঘটনাস্থলে পৌছে যান নগরপাল সহ রাজ্যপুলিসের উচ্চপদস্থ কর্তারা। সরকারের তরফে  মৃত ও আহতদের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়। রাজ্যের তরফে সেনা সাহায্য চাওয়া হয়। উদ্ধারে নামে ৪০০ সেনার টিম। আনা হয় শক্তিশালী  বেশকয়েকটি ক্রেনও। এরপরই গতি আসে উদ্ধারকাজে। ততক্ষণে পেরিয়ে গিয়েছে আড়াই ঘণ্টা।

.