শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে অশালীন মেসেজ, বাংলাদেশের খুলনা থেকে গ্রেফতার যুবক
ধৃত যুবকের নাম মাহবুবর রহমান। তিনি খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গা থানার বকশিপাড়া রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : বহুদিন ধরেই অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে অশালীন মেসেজ পাঠাতেন। এই ঘটনায় অভিনেত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে এক যুবককে খুলনা থেকে গ্রেফতার করল বাংলাদেশ পুলিস। bdnews24.com সূত্রে খবর, ধৃত যুবকের নাম মাহবুবর রহমান। তিনি খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গা থানার বকশিপাড়া রোডের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
জানা যায়, বারবার তাঁকে বিভিন্ন নম্বর থেকে অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে অশালীন মেসেজ পাঠাতেন ধৃত মাহবুবর রহমান। এবিষয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের হাই কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন-বাংলাদেশ থেকে অশ্লীল মেসেজ, হাইকমিশনে অভিযোগ করলেন শ্রাবন্তী
ঠিক কী ঘটেছিল? জানতে চাওয়া হলে গত সেপ্টেম্বরে শ্রাবন্তী Zee 24 ঘণ্টা ডট কমকে জানিয়েছিলেন, ''কয়েকটা নম্বর থেকে দিনের পর দিন খুব জঘন্য শব্দ ব্যবহার করে আমায় মেসেজ পাঠানো হচ্ছিল। এটা বহুদিন ধরে চলছিল। আমাদের দেশ নিয়ে খারাপ কথা বলা হচ্ছিল। হোয়াটসঅ্যাপ নয়, শুধুই মেসেজের পর মেসেজ আসত। আমি অনেকবার ব্লক করেছি, আবার অন্য নম্বর থেকে মেসেজ পাঠিয়েছে। প্রথমে আমি পাত্তা দিই নি। তারপর একদিন ফোন দেখতে গিয়ে ভাবি এটা কী হচ্ছে! আমার স্বামী রোশন বলল, ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এটা ঠিক নয়। একজনে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে বাকিরা চুপ করে যাবে। যাঁরা এটা করছেন, তাঁদের বাড়িতেও তো মা-বোন আছে। একটা মেয়েকে কীভাবে অপমান করতে পারে? এরপরই আমি আর রোশন অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নি। যেহেতু আমাদের বাংলাদেশে পরিচিত লোকজন আছেন, তাঁদের মাধ্যমেই বাংলাদেশের হাই কমিশনে অভিযোগ করি। কারণ, অন্যায় দীর্ঘদিন ধরে সহ্য করাটাও তো অপরাধ।''
আরও পড়ুন-সবুজ সুইম স্যুটে মালদ্বীপের নীল সমুদ্রে মজে রকুলপ্রীত সিং
অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার কালনা থেকে মাহবুবর রহমানকে গ্রেফতার করে কালনা পুলিস। তাঁকে আদালতে তোলা হয়ে অভিযুক্তকে ৫দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবিষয়ে বাংলাদেশের সোনাডাঙ্গা থানার এসআই মো. খালিদ উদ্দিন বলেন, ''মাহবুবর রহমান শ্রাবন্তীর ব্যক্তিগত ফোন নম্বর সংগ্রহ করে বিভিন্ন সময় কল করতেন। শ্রাবন্তী অপরিচিত নম্বরের কল না ধরায় তাকে নানা ধরনের আপত্তিকর প্রস্তাব লিখে মেসেজ দিতেন মাহবুব।''