Exclusive: 'মা তাপসের জন্য খাবার সরিয়ে রাখতেন', চন্দননগরে গিয়ে স্মৃতিমেদুর প্রসেনজিৎ

নতুন ছবি  'আয় খুকু আয়'-র প্রচারে চন্দননগরে প্রসেনজিৎ। গেলেন বন্ধু তাপস পালের বাড়িতে। সঙ্গী,  জি ২৪ ঘণ্টার এডিটর গৌতম ভট্টাচার্য। 

Updated By: Jun 15, 2022, 12:02 AM IST
  Exclusive: 'মা তাপসের জন্য খাবার সরিয়ে রাখতেন', চন্দননগরে গিয়ে স্মৃতিমেদুর প্রসেনজিৎ

নিজস্ব প্রতিবেদন: 'সময়ের থেকে এগিয়ে থাকা অভিনেতা'! চন্দননগরে তাপস পালের বাড়ি সামনে দাঁড়িয়ে প্রয়াত বন্ধুর স্মৃতিতে ডুব দিলেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্য়ায়। বললেন, 'এই বাড়িতে বহুবার এসেছি। ওকে তুলে নিয়ে গিয়েছি। রাতে আউটডোর থেকে ফেরার পথে ড্রপ করে দিয়েছি। এই বাড়িতে ঢুকে খাওয়াদাওয়াও করেছি'। শুনলেন জি ২৪ ঘণ্টার এডিটর গৌতম ভট্টাচার্য। 

আর মাত্র ২ দিন। আগামি শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে  জিতের(Jeet) প্রযোজনায় পরিচালক সৌভিক কুন্ডুর ছবি 'আয় খুকু আয়'(Aye Khuku Aye)। বাবা-মেয়ের গল্পে মুখ্য চরিত্রে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ও  দিতিপ্রিয়া রায়কে(Ditipriya Roy)। প্রচারের একেবারে শেষলগ্নে চন্দননগরে প্রসেনজিং। সদ্য এভারেস্টজয়ী পিয়ালি বসাকের সঙ্গে যেমন দেখা করলেন, তেমনি ফিরলেন বন্ধুত্বের শিকড়েও। গেলেন তাপস পালের বাড়িতে।

আরও পড়ুন: Exclusive: 'আয় খুকু আয়'-এ নিজের অভিনীত চরিত্রটি বন্ধু তাপসকে উৎসর্গ করলেন প্রসেনজিৎ

দেখতে দেখতে ২ বছর পার। ২০২০ সালের ১৮ ফ্রেরুয়ারি প্রয়াত হন তাপস পাল। টলিউডে কান পাতলে এখনও শোনা যায়, তাপস ও বুম্বার বন্ধুত্বের কাহিনী। জীবনীতে সেই গল্প লিখেওছিলেন প্রসেনজিৎ। তাপসের স্ত্রী ও একমাত্র কন্যা থাকেন কলকাতায়। চন্দননগরের বাড়িটা এখন তালাবন্ধ। এই বাড়িটি কি এখনও কোনও ইমোশনাল ফিলিং দেয়? গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে প্রসেনজিৎ বললেন, 'যেকোনও ইন্টারভিউ দিতে গেলেই তাপসের নাম উঠে আসে। কারণ, একটা সময়ে বাংলায় সিনেমায় আমরা দু'জনেই বড় লেভেলে কাজ করেছি। ব্যক্তিগতভাবে আমার ভীষণ কাছের বন্ধু ছিল'।

আরও পড়ুন: Exclusive Prosenjit Chatterjee on Piyali Basak: 'তোমার কাছে আসা মানে আমার মেয়ের কাছে আসা',রিয়েল 'খুকু'র বাড়িতে রিলের বাবা প্রসেনজিৎ

কেমন ছিল সেসব দিনগুলি? প্রসেনজিতের স্মৃতিতে ধরা দিল, 'আমাদের ছোটবেলায় আউটডোর আলাদা গাড়ি থাকত না। একই গাড়িতে নিয়ে যেত। সেই সূত্রে এই বাড়িতে বহুবার এসেছি। ওকে তুলে নিয়ে গিয়েছি। রাতে আউটডোর থেকে ফেরার পথে ড্রপ করে দিয়েছি। এই বাড়িতে ঢুকে খাওয়াদাওয়াও করেছি'। অভিনেতা জানালেন, 'মা বলতেন, আমার বড়ছেলে তাপস। এমনও হয়েছে, কালিম্পং বা কোনও ঠাণ্ডার জায়গায় আউটডোরে গিয়েছি। রোদ্দুর তাড়াতাড়ি চলে যাবে বলে, শুটিং করে যেতে হচ্ছে। লাঞ্চ ব্রেক হচ্ছে বা। মা তাপসের জন্য খাবার সরিয়ে রাখতেন। যাতে লাঞ্চ ব্রেক হলে ও খাবারটা পায়'। 

আরও পড়ুন: 20 Years of Saathi: বাংলা ছবিতে দেখা নেই জিতের 'সাথী'র নায়িকার, ২০ বছর পর কী করছেন প্রিয়াঙ্কা?

নয়ের দশকে টলিউডে ছিল তিন দাদার রাজ। বড়দাদা চিরঞ্জিৎ, মেজদাদা তাপস পাল আর ছোড়দা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্য়ায়। শেষের জনের অকপট স্বীকারোক্তি, 'আমাদের সময়ে, মানে আমরা যখন ছোট থেকে বড় হচ্ছি. আমাদের মধ্যে সবথেকে ভালো অভিনেতা ছিল তাপস। True sense a ahead of time actor। শেষের দিকে ওর সঙ্গে অনেক কাজ করেছি। ওর নিজস্ব একটা কাজ, আমার খুব পছন্দের। ট্রেনে জার্নি করে এক মাস্টার, সেই জার্নিটাকে নিয়ে গল্প হয়েছিল। তখন হলে গিয়ে ছবিটা দেখতে পারিনি। পরে দেখে ওকে ফোন করেছিলাম'। 'আয় খুকু আয়'-এ নিজের করা চরিত্রটিও তাপস পালকেই উৎসর্গ করেছেন প্রসেনজিৎ।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)

.