ফের মৃত্যু বলিউডে, স্ত্রীর সঙ্গে অশন্তির জেরেই মৃত্যু সুশান্তের সহ অভিনেতার?

অক্ষয় কুমারের কেশরিতেও অভিনয় করেন সন্দীপ নাহার

সুশান্তের সঙ্গে সন্দীপ

নিজস্ব প্রতিবেদন : ​ফের মৃত্যু বলিউডে (Bollywood)। নিজের ঘর থেকে উদ্ধার 'এম এস ধোনি', 'কেশরি' খ্যাত অভিনেতা সন্দীপ নাহারের মৃতদেহ। সুশান্ত সিং রাজপুতের সহ অভিনেতার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই ফের জোর শোরগোল শুরু হয়ে যায় বি টাউন জুড়ে।

মৃত্যুর আগে ফেসবুকে একট ভিডিয়ো শেয়ার করেন সন্দীপ নাহার (Sandeep Nahar)। ব্যক্তিগত জীবনে অখুশি ছিলেন বলে ওই ভিডিয়োতে ইঙ্গিত দেন সন্দীপ। ব্যক্তিগত জীবনের পাশাপাশি নিজের কেরিয়ার নিয়েও সন্দীপ অখুশি ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক এবং আর্থিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন বলেই তিনি চরম সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বলে ওই ভিডিয়োতে ইঙ্গিত দেন। ফেসবুকে ভিডিয়ো এবং পোস্ট শেয়ার করার পরপরই উদ্ধার করা হয় সন্দীপ নাহারের মৃতদেহ।

মৃত্যুর আগে সন্দীপ ফেসবুকে যে পোস্ট করেন, সেখানে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে তিনি অখুশি বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। বাবা-মাকে গর্বিত করতে চেয়েছিলেন কিন্তু পারেননি। অনেক আশা নিয়ে বাবা, মা তাঁকে বড় করেন কিন্তু তাঁদের ভাল রাখতে পারেননি। ফিল্ম দুনিয়া তাঁকে অনেক কাজ দিয়েছে কিন্তু জীবনে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে যে অশান্তি, তা আর সহ্য করতে পারছেন না। বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েই তাঁর জীবনের সব হাসি, খুশি শেষ হয়ে যায়। বাবা, মাকে  দুঃখ দিয়ে তিনি যে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তা ভুল। সেই কারণে বাবা, মায়ের কাছেও শেষ পোস্ট ক্ষমা চেয়ে নেন সন্দীপ নাহার।

পাশাপাশি মুম্বইয়ের (Mumbai) মায়া নগরী এক সময় তাঁর জীবনকে গড়ে দেয় বলে ধন্যবাদ জানান সন্দীপ। তবে মায়া নগরীতে অনেক রাজনীতি রয়েছে। কাজ দেব বলেও অনেক সময় সবকিছু ছিনিয়ে নেয় এই মায়া নগরী। এমন মন্তব্য করতেও  দেখা যায় কেশরি খ্যত এই অভিনেতাকে।

বেশ কয়েকদিন ধরে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ক্রমাগত খারাপ হচ্ছিল। স্ত্রীর পাশাপাশি শাশুড়িও তাঁর উপর মানসিকভাবে চাপ দিচ্ছিলেন বলেও নিজের শেষ পোস্টে স্পষ্ট লেখেন সন্দীপ নাহার। বিয়ের পর থেকে গত ২ বছরে তাঁর জীবন আমূল পালটে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁর জীবন কার্যত নরক হয়ে গিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সন্দীপ নাহার। তবে মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রীকে যাতে কেউ হেনস্থা না করেন, দোষারোপ না করেন, সে বিষয়ে আর্জি জানান সন্দীপ নাহার। সবকিছু মিলিয়ে মানসিক টানাপোড়েনের জেরেই সন্দীপ নাহারের জীবন শেষ হয়ে যায় বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিস।