Papiya Adhikari: 'অভিনেতা নয়, সাংসদ Nusrat Jahan-র সামাজিক দায়িত্ব ছেলের পিতৃপরিচয় সামনে আনা'
এবার বড়পর্দায় মাতৃত্বের গল্প বলবেন পরিচালক পাপিয়া অধিকারী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পরিচালকের আসনে অভিনেতা পাপিয়া অধিকারী (Papiya Adhikari)। তাঁর নতুন ছবির নাম 'মাদার ইন্ডিয়া' (Mother India)। এই ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করবেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (Rituparna Sengupta)। পতিতালয়ের প্রেক্ষাপটে মাতৃত্বের গল্প বলবেন পরিচালক। একদিকে বড়পর্দায় যেমন উঠে আসতে চলেছে সিঙ্গল মাদারের গল্প অন্যদিকে বাস্তব জীবনে প্রশ্নের মুখে সিঙ্গল মাদার অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরত জাহান(Nusrat Jahan)।
শুধু মায়ের পরিচয়ে কি সন্তান বেড়ে উঠতে পারে না? এই প্রশ্নই তুলেছেন অভিনেতা সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)। তিনি চান তাঁর পরিচয়েই বেড়ে উঠুক তাঁর সন্তান। অন্যদিকে নুসরতের ছেলের পিতৃপরিচয় জানতে মরিয়া নেটিজেনরা। প্রতিদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মাতৃত্ব নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। বড়পর্দায় মাতৃত্ব উদযাপন করতে চলেছেন পাপিয়া অধিকারী, কিন্তু বাস্তবের সিঙ্গল মাদার নুসরতের সিদ্ধান্ত নিয়ে কী মনে করেন পাপিয়া? এই প্রশ্নের উত্তরে জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে তিনি জানান, 'একজন মা সবসময়েই একা তাঁর সন্তানকে বড় করতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রেও কিছু শর্ত থাকে। নুসরত হয়তো নিজেকে ওতো গুরুত্ব দেন না কিন্তু ওঁ এই সমাজের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। একজন মহিলা হিসাবে আমি বলতে পারি, আমরা উপনিষদের, গীতার, কোরানের, বাইবেলের দেশের লোক, আমাদের কিছু আদর্শ আছে। সেখানে একজন সাংসদ হয়ে নুসরত যদি বলেন আমার সন্তানের পিতৃপরিচয় নেই, আমার বিয়েটা বিয়ে নয়, সেটা সমাজে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। সামাজিকভাবে সেটা মেনে নেওয়া যায়না। এটাকে মিথ্যাচার বলে। সমাজের মাথা হয়ে বসে এই কথা বলতে পারেন না তিনি।'
পাশাপাশি তিনি বলেন, 'একা ছেলে মানুষ করার ক্ষেত্রে আমি সবসময় ওঁকে সাপোর্ট করি কিন্তু সাংসদ হয়ে এই কাজ করতে পারেন না তিনি। কাউকে বিয়ে করতে চাইলে সে করতেই পারে, অন্য কাউকে ভালোবাসতেই পারে। কিন্তু সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে এই ধোঁয়াশা তৈরি করা মেনে নেওয়া যায় না। আগামী দিনে তাঁর ছেলেকেও সমাজের নানা ক্ষেত্রে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে। বাবা জানে বাবাকে, এটা নুসরতের জেদের কথা। সাংসদ হয়ে এই জেদ তাঁকে মানায় না। এই বিষয়ের সমাধান নুসরতকেই বার করতে হবে। এটা কোনও জ্ঞান নয়, সিনিয়র হিসাবে ওঁকে একাটা সাজেশন মাত্র।'
ছবির বিষয়ে পরিচালক পাপিয়া বলেন, 'লকডাউনে বাড়িতে বসে বেশ কয়েকটা বিষয় নিয়েই চিত্রনাট্য লিখেছি, এটা তারমধ্যেই একটা। একটি মেয়ের গল্প যে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতির কারণেই পতিতালয়ে এসে পড়ে, সেখান থেকে তাঁর মাতৃত্ব, তাঁর উত্তরনের কাহিনিই উঠে আসবে এই ছবিতে। দুর্বারের সঙ্গে কাজ করতে করতেই তাঁদের জীবন সম্পর্কে কিছুটা জানি। তাঁরা সব বকুল ফুলের মতো স্নিগ্ধ। যাঁর বাড়ির মাটি ছাড়া দুর্গা পুজো হয় না সেখানে তাদের পতিতা কেন বলা হবে,তাই ঠিক করি এবার তাদের উত্তরণের গল্প বলব। ছবিতে ঋতুপর্ণাকে ছাড়া আর কাউকে মানাতো না। দীর্ধ ৩০ বছর ঋতুকে চিনি। এই ইন্ডাস্ট্রিতে নায়িকা হিসাবে টিকে থাকার জন্য দীর্ঘদিন লড়াই করে চলেছে সে। বন্ধু হিসাবে কাছ থেকে দেখেছি সেই লড়াই। এখানেও একজন মায়ের লড়াইয়ের গল্প বলা হয়েছে।' এখনও অবধি ছবির কাস্টিং ঠিক হয়নি। আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই শুরু হবে 'মাদার ইন্ডিয়া' ছবির শুটিং।