`সিং ইজ কিং`য়ের জন্মদিনে ভক্তদের উচ্ছ্বাস
বলিউডে অনেক তারকাদের ভিড়েও তিনি উজ্জ্বল। কখনও তিনি `দিল কি ধড়কন`, আবার কখনও `সিং ইজ কিং`।
বলিউডে অনেক তারকাদের ভিড়েও তিনি উজ্জ্বল। কখনও তিনি `দিল কি ধড়কন`, আবার কখনও `সিং ইজ কিং`। তাঁর আসল নাম রাজীব হরিওম ভট্ট এটা কজনই বা জানে। তবে গোটা বলিউডের কাছে তিনি অক্ষয় কুমার বলেই পরিচিত। কারোর ছত্রছায়ায় বড় হননি তিনি। একাই নিজের জায়গা বানিয়েছেন এই হিন্দি সিনেমার জগতে। এখন তিনি প্রথম সারির অভিনেতা হিসেবেই পরিচিত। তাঁর নামই এখন সিনেমা হিট হওয়ার জন্যে যথেষ্ট। টিনসেল টাউনের `সাব সে বাড়া খিলাড়ী`র আজ পঁয়তাল্লিশতম জন্মদিন।
১৯৬৭ সালের ৯ই সেপ্টেম্বরে জন্ম অক্ষয় কুমারের। গত দু দশক ধরে দর্শকদের মন জয় করে আসছেন তিনি। এখনও তাঁর `চার্ম`-এ মুগ্ধ সবাই। ইন্ডাস্ট্রিতে `অ্যাকশন হিরো` বলে পরিচিত হলেও কমেডি ছবিতেও তিনি একই ভাবে সাবলীল। পাঞ্জাবের অমৃতসরে জন্ম তাঁর। তাঁর বাবা ছিলেন আর্মির অফিসার, মা সাধারণ গৃহবধূ। ছোটবেলার প্রায় পুরোটাই কেটেছে দিল্লির চাঁদনী চৌক অঞ্চলে।
অক্ষয়ের কর্মজীবন শুরু হয় থাইল্যান্ডে ব্যাংককের এক রেস্তরাঁয় শেফ ও ওয়েটার হয়ে। মার্শাল আর্টেও সমান পারদর্শী তিনি। মুম্বাইয়ে মডেলিং এর আশায় এলেও, তিনি বেছে নেন অভিনয়ের পথটা। ১৯৯২ সালে, প্রমোদ চক্রবর্ত্তীর ছবি দীদার দিয়ে অভিনয় জগতে প্রথম পদক্ষেপ। ১৯৯৪-এ `ম্যায় খিলাড়ী তু আনাড়ি`
ও `মহড়া` এই দুই ছবি বক্স অফিসও যেমন মাত করেছেন, তেমনি নিজের জায়গাটাও পাকাপাকি করে ফেলেছেন
টিনসেল টাউনে। একের পর এক হিট ছবির পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। অক্ষয়ের জীবনে `মাইলস্টোন` সিনেমা হিসেবে দেখা হয় `হেরা ফেরি`। কমেডি ছবিতে প্রথম আত্মপ্রকাশ আক্কির। অন্যদিকে `খাকি`তে অভিনয়ের পর সমালোচকরাও হয়েছিলেন প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তার সাথে সাথে বক্স অফিস কাঁপানো ছবি তো আছেই।
দীর্ঘ সাত বছর পরে অ্যাকশন ছবিতে ফিরে আসেন অক্ষয় কুমার। প্রভু দেবার `রাউডি রাথোড়` ছবিতেই হয় অক্ষয়ের অ্যাকশনে কামব্যাক। আবারও হিট। বক্স অফিসে লাভ করে ১০০ কোটি টাকা। তবে সম্প্রতি `জোকার` তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি।