Debchandrima Singha Roy: ‘কাউকে মন থেকে মুছে ফেলা সহজ নয়...’ অপেক্ষায় দেবচন্দ্রিমা?
Debchandrima Singha Roy: সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে দেবচন্দ্রিমা অভিনীত শ্যামশ্রী সাহার গাওয়া পলাশ। গানটি লিখেছেন ঋতম সেন, সুর করেছেন প্রসেন। গানটি অপেক্ষার গান, কারোর অপেক্ষা রয়েছে দেবচন্দ্রিমার? অভিনেত্রী বলেন, 'অপেক্ষা ছিল, এখন আর নেই। সেই জায়গা থেকে নিজেকে বের করে ফেলেছি'
সৌমিতা মুখোপাধ্যায়: ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা, খুব অল্প সময়েই দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়। সম্প্রতি এসভিএফ মিউজিক থেকে মুক্তি পেয়েছে তাঁর নতুন মিউজিক ভিডিয়ো ‘পলাশ’। পাশাপাশি জিতের ছবিতেও অভিনয়ের কথা চলছে তাঁর। কাজ থেকে শুরু করে জীবনের খুঁটিনাটি নিয়ে আড্ডায় দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়।
নতুন মিউজিক ভিডিয়ো ‘পলাশ’ ইতোমধ্যেই ট্রেন্ডিং, পলাশ ফুল নিয়ে দেবচন্দ্রিমার কোনও নস্টালজিয়া আছে?
দেবচন্দ্রিমা: আমার ছোটবেলায় পলাশ ফুল দিয়ে প্রেম নিবেদনের কনসেপ্ট উঠে গিয়েছিল, তবে আমার মেন্টালিটি একটু ওল্ড স্কুল। আমি এখনও চাই, কেউ যদি আমার সঙ্গে ডেট করতে চায় বা আমাকে প্রপোজ করতে চায় তাহলে পলাশ কিংবা একটা গোলাপ দিলে আমি খুশি হব। আমার ভালো লাগে বিষয়গুলো।
এই মিউজিক ভিডিয়োটা করলেন কেন?
দেবচন্দ্রিমা: শুধুমাত্র মণিদার জন্য। মণিদা আমার খুব কাছের। মণিদা যখন আমায় বলে এটা তোমার জন্য খুব ভালো হবে, আমি আর কিছু না জিগ্গেস করেই রাজি হয়ে যাই। তারপর এসে গল্প শুনি, প্রিয়া খুব ভালো কনসেপ্ট ভেবেছে। এরপরেই ঐ গানটা শুনি। গানটা শুনেই বুঝতে পারি সবার ভালো লাগবে গানটা।
পলাশ তো অপেক্ষার গান, দেবচন্দ্রিমার কারোর অপেক্ষা আছে?
দেবচন্দ্রিমা: অপেক্ষা ছিল, এখন আর নেই। সেই জায়গা থেকে নিজেকে বের করে ফেলেছি। শুধু প্রেমিক প্রেমিকার অপেক্ষা নয়। কখনও কখনও কোনও মানুষ জীবনে খুব স্থায়ী জায়গা করে ফেলে, তখন তাঁকে মন থেকে মুছে ফেলা সহজ হয় না। তাঁর সাথে যখন কথা বন্ধ হয়ে যায়, তখন অপেক্ষা তো একটা থাকেই। এতোটা ভুল বুঝল, ফিরে কি আসবে না? এগুলো মাথার মধ্যে চলে।
রিজওয়ানের সঙ্গে আপনার বিচ্ছেদের যে খবর ঘুরছে, তা কি সত্যি?
দেবচন্দ্রিমা: আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনটা ব্যক্তিগতই রাখতে চাই। যতটুকু আমি দেখাতে চাই, ততটুকুই আমি শেয়ার করি। বাকিটা ব্যক্তিগত, যখন যা হবে সেটা দেখা যাবে।
আরও পড়ুন- Mayoori Kango: IIT ছেড়ে বলিউডে পা, সাফল্য না পেয়ে এখন গুগলের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এই অভিনেত্রী...
ইনস্টাগ্রামে আপনার জীবনের কিছু ঝলক দেখা যায়...
দেবচন্দ্রিমা: ইনস্টাগ্রামে আমার জীবনের খুশিগুলোই শেয়ার করি। আমি আমার দুঃখ, ডিপ্রেশন কারোর সঙ্গে শেয়ার করতে চাই না। আমি আমার ভালোলাগাগুলোই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখাই।
কিন্তু এর জেরে তো সোশ্যাল মিডিয়া ট্রোলডও হতে হয়, কমেন্ট বক্স দেখেন?
দেবচন্দ্রিমা: আমি কিছু এড়িয়ে চলে যাই না। আমি সব দেখি। নিজের নামে কিছু থাকলে আরও ভালোভাবে পড়ি। আমার মনে হয় না এটা বলার কোনও জায়গা আছে যে, এটা আমি দেখিনি। যারা ট্রোল করে অনেক সময় তারা নিজের স্বার্থে করে, আমাকে ব্যবহার করে নিজের চ্যানেলের রিচ বাড়াতে। যদি কোনও ভুল করে থাকি তাহলে আমার ট্রোলড হতে আপত্তি নেই। কারণ আমিও মানুষ, ভুল হতেই পারে। তবে দিনের শেষে সব ঠিক করার চেষ্টা করি, সবসময় হয় না।তবে ৯৯ টা ঠিক কাজ করে একটা ভুল করলে যদি আমি ট্রোলড হই তাহলে আমি মনে করব যে আমি সেভাবে মানুষের মনে পৌঁছতে পারিনি। তবে এর একটা অন্যদিকও রয়েছে। কিছু মানুষ ট্রোল করে আবার কিছু মানুষ আমার হয়ে লড়েও। যাঁরা আমার জন্য লড়ে আমি তাঁদের লক্ষ্য করি, তাঁদের নামও বলে দিতে পারি। যাঁরা আমার জন্য লড়ে তাঁরা আমায় আশীর্বাদ করে আর দিনের শেষে এগুলোই পাওনা।
শোনা যাচ্ছে এবার জিতের ছবিতে দেখা যাবে আপনাকে?
দেবচন্দ্রিমা: আমার প্রাথমিকভাবে কথা হয়েছে। এই চরিত্রটা প্যারালাল লিড। যদি হয়ে যায় আমি খুশি হব। কারণ ছোটপর্দার বাইরে আমি বিভিন্ন মিডিয়ামে কাজ করতে চাই। বড়পর্দায় যদি দর্শকের ভালোবাসা পাই তাহলে সেটা খুবই ভালো লাগবে।
টিভি অভিনেত্রী এই ট্যাগটায় কী আপনার আপত্তি আছে?
দেবচন্দ্রিমা: আমি মনে করি, অভিনেত্রী অভিনেত্রীই হয়। টিভি বা সিনেমার অভিনেত্রী আলাদা হয় বলে আমার জানা নেই। এগুলো শুধুমাত্র মাধ্যম। আমরা হয়তো টেলিভিশনে ডেবিউ করেছি বলে লোকে বলে টিভির অভিনেত্রী। তবে এভাবে কী কাউকে ট্যাগ করে দেওয়া যায়? অভিনয় যে করেই সেই তো অভিনেত্রী, কাউকে আমি এই ট্যাগ করি না, আমাকে কেউ বলুক সেটাও পছন্দ করব না।
টেলিভিশনে ডেবিউ করলে কী সিনেমায় লিড রোল পেতে অসুবিধে হয়?
দেবচন্দ্রিমা: আমার কখনও মনে হয়নি, আমি টিভিতে কাজ করি বলে অন্য মাধ্যমে কাজ করতে পারব না। নিজেকে আপগ্রেড করতে হবে। নিজের লিমিটেশনের বাইরে নিজেকে পুশ করতে হবে। আমি সব জায়গায় অডিশন দিয়েই চান্স পাচ্ছি। কেউ আমায় বলছে না যে ‘তুমি দেবচন্দ্রিমা, তোমার একটা ব্র্যান্ড তৈরি হয়েছে’, আমি এটা শুনতেও চাই না। আমি প্রত্যেকটা জায়গায় প্রমাণ দিতে চাই এই কাজটা করার যোগ্যতা আমার আছে। আমাক কাজ দেখে যদি মনে হয় দেবচন্দ্রিমাকে এই রোলে নেওয়া যেতে পারে, তবেই হোক। টেলিভিশনে আমরা খানিকটা একইধরনের গল্পে অভিনয় করে অভ্যস্ত। যদি তার বাইরে মানুষ ভাবতে না পারে সেটা অভিনেত্রীর সমস্যা নয়। প্রত্যেককেই সুযোগ দেওয়া উচিত সে অন্য চরিত্রে মানিয়ে নিতে পারবে কি পারবে না। এটা ভাবা ভুল যে টেলিভিশন করে মানেই শুধু গ্রামের বউই হতে পারবে, অভিনয়ই তো করছি।
আরও পড়ুন- Mithun Chakraborty Birthday: সেটেই জন্মদিন উদযাপন, মিঠুনের জন্য পায়েস নিয়ে হাজির মমতা শঙ্কর...
টিভি, বিগ স্ক্রিন, ওটিটি, আপনার ফেভারিট কোনটা?
দেবচন্দ্রিমা: আমার ওটিটি করার খুব ইচ্ছে। আমি নিজেও ওটিটি দেখতে অভ্যস্ত, খুব একটা সিনেমা দেখতে যাওয়া হয় না। ওটিটিতে খুব ভালো ভালো গল্প হচ্ছে। আমার প্রেফারেন্সে ওটিটি থাকবে।
তাহলে কী খুব তাড়াতাড়ি ওটিটিতে দেখা যাবে?
দেবচন্দ্রিমা: কথা চলছে ওটিটি প্রজেক্টের। এখন বলা যাবে না।