ফিল্ম রিভিউ: জিসম ২
ফি-হপ্তা এত এত ফিল্ম রিলিজ! কোনটা দেখবেন, কেন দেখবেন, কী দেখবেন? বক্স অফিসে টিকিট কাটার আগে এক্সক্লুসিভ অ্যান্ড সুপারফাস্ট রিভিউ পড়ে নিজেই জেনেবুঝে নিন। হলি-বলি-টলি ছবির চুলচেরা বিচার করছেন ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি শর্মিলা মাইতি।
ফি-হপ্তা এত এত ফিল্ম রিলিজ! কোনটা দেখবেন, কেন দেখবেন, কী দেখবেন? বক্স অফিসে টিকিট কাটার আগে এক্সক্লুসিভ অ্যান্ড সুপারফাস্ট রিভিউ পড়ে নিজেই জেনেবুঝে নিন। হলি-বলি-টলি ছবির চুলচেরা বিচার করছেন ২৪ ঘণ্টার প্রতিনিধি শর্মিলা মাইতি।
জিসম-মে কিতনা হ্যায় দম?
ছবি-জিসম-২
প্রযোজক-মহেশ ভট্ট
পরিচালক- পূজা ভট্ট
অভিনয়ে- সানি লিওন, রণদীপ হুদা, অরুণোদয় সিং
রেটিং- 3/10
বহু, বহু এবং বহু পাবলিসিটি স্টান্টের পর শুক্রবার ছবি রিলিজ। ইচ্ছে করেই সোমবার বিকেলের শো দেখতে গেলাম, শুক্র-শনি-রবির প্রাথমিক উলুধ্বনিপর্বটা পার হওয়ার পর হুজুগে বাঙালি দর্শকের হিড়িক কেমন যাতে বুঝতে পারি। শহর জুড়ে জিসম-টু এর পোস্টারেও এত মায়াময় লোভনীয় হাতছানি। এ ধরণের ছবিতে গল্প কিংবা জ্ঞান কোনওটাই দেখতে যায় না দর্শক। প্রযোজক বা ডিস্ট্রিবিউটর কেউই তেমন আশা করেন না অবশ্য। বিন্দাস টাইমপাস ক্যাটাগরিকেই ধরতে চেয়েছেন।
বাহারে সানি! `জিসম`-এ যিতনা হ্যায় দম দেখানোয় ত্রুটি রাখেননি। স্ক্রিনের নাম ইসনা। ইশশ্...না! পেশায় পর্নস্টার। পর্ণমোচীর মতো মোচন করেছেন যেখানে যেমন দরকার। অদরকারেও করেছেন। সারা ছবি জুড়ে `বক্ষবিদারী` পোষাক-আসাক পরেছেন। মানে, সারা শরীর ঢাকা দিলেও বিভাজিকা ঠিকই দ্রষ্টব্য। নিপুণভাবে। এ ব্যাপারে কস্টিউম ডিজাইনারের বাহবা প্রাপ্য না কি সানি লিওনের তা নিয়ে টি-টাইম তর্ক চলতে পারে। দেখার বিষয় আরও আছে। কস্টিউমের মতো তাঁর ঠোঁটদুটিও সবসময়ে ঈশ্বরের কোনও এক অদ্ভুত খেয়ালে, সবসময়ে এক ইঞ্চি চিচিং ফাঁক হয়ে থাকে! কখনও চুম্বনের প্রত্যাশায়, কখনও ভয়ে, কখনও আতঙ্কে, কখনও হাসিতে। এমন ইস্পাতের মতো খাঁজ-ভাঁজহীন এক্সপ্রেশন কী করে দিলেন ভদ্রমহিলা। এলেম আছে।
গোটা ছবিতে কম বাজেটের নিশান সুস্পষ্ট। স্ক্রিপ্টরাইটারদেরও তেমন খুশি করা হয়েছে বলে মনে হল না। জিসম-২ লিখতে গিয়ে প্রচুর জ্ঞানগর্ভ সংলাপ ছেড়েছেন, যার মানে তাঁরা নিজেরাও জানেন না। অরুণোদয় সিং নামে এক অভিনেতা আছেন। গুলি খেয়ে ল্যাকপ্যাকে সিং হয়ে ধপাস হন। (অভিনয়েই বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর অরুণ উদয় হতে এখনও অনেক দেরি)। ট্যারাবাঁকা কান আর বাঁকাচোরা থুতনি আরও টেরিয়েবেঁকিয়ে জিজ্ঞেস করেন সানিকে, You f***ed him? উত্তরে সানি বলেন, No...yes! (দর্শকের হি-হি)
বাকি রণদীপ হুদা। বেনাবনে প্রচুর মুক্তো ছড়িয়ে ফেলেছেন। ভারী কণ্ঠস্বর, দৃপ্ত অভিনয়। দেশপ্রেমিক হওয়ার প্রতিজ্ঞা নিয়েও কপালফেরে টেররিস্ট বনে যায় এমনই এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে সানির সঙ্গে তাঁর সিকোয়েন্সটায় প্রাণ ঢেলে দিয়েছেন। জানি না ফিল্ম-সমালোচকদের নজরে পড়বেন কি না। রণদীপের জন্য প্রত্যাশার পারদ খানিকটা চড়েই গেল!
নাঃ, প্রচুর খরচখরচা করে সানি লিওনকে বলিউডে এনে প্রযোজকের সানি সাইড আপ হয়নি। তিনদিনেই হলে গুটিকয় গোমড়াথোরিয়াম দর্শক। টাইমপাস করার জন্য বিস্কুট কিনে খাওয়াই ভাল।