Kabir Suman in Dhaka: তেরো বছর পরে বাংলাদেশে! হাতের কাছে ইনহেলার নিয়েও গানে গানে ঢাকা মাতালেন কবীর সুমন!
Kabir Suman in Dhaka: একে একে গেয়ে গেলেন 'পুরনো সেই দিনের কথা', 'হাল ছেড়ো না বন্ধু', 'তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা', 'যদি ভাবো কিনছো আমায়'। পাশে রাখা ইনহেলার দেখিয়ে শ্রোতাদের বললেন, 'ভয় পাবেন না, মরব না। এমন ভাগ্য করে জন্মাইনি যে, বাংলাদেশের মাটিতে মরব।'
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এলেন, দেখলেন, জয় করলেন। প্রায় তাই-ই। তাঁর কাছে এটা অবশ্য নতুন নয়। যথারীতি টিকিট নিয়ে হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। ২০০৯ সালের ১৬ অক্টোবর শেষবার ঢাকার মঞ্চে গেয়ে গিয়েছেন। তারপর আবার এই ২০২২-এর অক্টোবর। তিনি সত্তরোর্ধ্ব কবীর সুমন। নতুন যুগের বাংলা গানের রূপকার। বাংলা গানের আধুনিক-উত্তর পর্বের সূচক। তাঁর অনুষ্ঠানের কথা ঘোষিত হতেই সাধারণের মধ্যে বিপুল সাড়া পড়ে গিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু অনুষ্ঠানের ভেন্যু পেতে প্রথম থেকেই তৈরি হয়েছিল সংকট। অবশেষে অনেক বাধাবিপত্তি পেরিয়ে শনিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যে নামার আগে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের মঞ্চে উঠলেন কবীর সুমন। সঙ্গে তাঁর সফরসঙ্গী তিনজন। প্রথমেই শ্রোতাদের সঙ্গে তাঁদের পরিচয় করিয়ে দেন শিল্পী।
আরও পড়ুন: Vishal Bhardwaj : সাড়ে ১৯ কোটির বিলাসী বাড়িতে 'বিশাল' যাত্রা!
গান শুরুর আগে ছোট্ট একটি বক্তব্যও রাখেন। বলেন, এখন গিটার বাজাতে পারি না, এ নিয়ে দুঃখ নেই। গুরুদের কৃপায় গাইতে পারি। এটাই আনন্দ। রোগের কারণে এখন আর ঠিক মতো দাঁড়াতেও পারেন না গানওয়ালা। চলাচলের জন্য ব্যবহার করতে হয় চলন্ত চেয়ার। সমস্যা হয় একটানা বসে থাকতেও। ছোট্ট বয়ান শেষে অবশেষে ধরলেন গান। শুরুতেই 'একেকটা দিন'। এরপর একে একে গেয়ে গেলেন 'পুরনো সেই দিনের কথা', 'হাল ছেড়ো না বন্ধু', 'তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা', 'যদি ভাবো কিনছো আমায়'। অনুষ্ঠান শেষ করার আগে সুমন বাংলাদেশ নিয়ে শোনালেন তাঁর একান্ত নিজস্ব অনুভূতির কথা। পাশে রাখা ইনহেলার দেখিয়ে বলেন, 'ভয় পাবেন না, মরব না। আমি এমন ভাগ্য করে জন্মাইনি যে, বাংলাদেশের মাটিতে মরব।'
এর আগে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে ১৫-১৮ অক্টোবর পর্যন্ত কবীর সুমনের গানের তিনটি অনুষ্ঠানের সূচি ঘোষণা করে আয়োজক প্রতিষ্ঠান পিপহোলের কর্মকর্তারা। সূচি ছিল এরকম-- জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে ১৫ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান, ১৮ অক্টোবর বাংলা খেয়াল ও ২১ অক্টোবর আধুনিক বাংলা গান। সেই অনুযায়ী অনুষ্ঠানের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিস ডিএমপির কাছে। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। পরে ঢাকার এই ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটে অনুষ্ঠানের আয়োজন করার অনুমতি পান আয়োজকরা।
একটাই ছন্দপতন। অনুষ্ঠানস্থল থেকে আয়োজকরা বের করে দেন গণমাধ্যমকর্মীদের! এর ফলে প্রচণ্ড বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। টিকিটের অব্যবস্থা, ভেন্যু-জটিলতা এবং সংবাদকর্মীদের সঙ্গে অসৌজন্য আচরণের কারণে পরিস্থিতি খুবই বিতর্কপ্রবণ ছিল। শ্রোতাদের অনেকেরই প্রত্যাশা ছিল, আয়োজকদের এই সব নিয়ে মুখ খুলবেন স্পষ্টভাষী সুমন। কিন্তু টুঁ শব্দটিও করেননি সুমন।