Mainul Ahsan Noble: বিতর্কে ইতি টানার চেষ্টা! রবীন্দ্র সঙ্গীত গেয়ে ফের কটাক্ষের শিকার নোবেল
Noble Man: গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পেলেও তাঁর নানা কাণ্ডের জেরে বারংবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন নোবেল। তবে এবার গান গেয়েই ট্রোলের মুখে পড়েন নোবেল। অনেকেই তাঁর গানের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু ভালো গান গাওয়ার পাশাপাশি তাঁর মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এক নেটিজেন তাঁর উচ্চারণে ভুলও ধরেছেন।
Noble man, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিতর্ক ও নোবেল যেন একটি কয়েনের দুই পিঠ। কখনও ব্যক্তিগত জীবন কখনও নেশাদ্রব্য কখনও আবার নানা বিষয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জর্জরিত হন বাংলাদেশের সঙ্গীতশিল্পী নোবেল। সম্প্রতি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরকে নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে পড়েছিলেন তিনি। এরপরই তাঁকে আইনি নোটিস পাঠায় চট্টগ্রামের এক আইনজীবী। সাতদিন সময় চাওয়া হয় ও দাবি করা হয় যে, এই সাতদিনের মধ্যেই ক্ষমা চাইতে হবে নোবেলকে। নয়তো তাঁর বিরুদ্ধে কড়া আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে এমনকী সাইবার ক্রাইমের ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আইনি নোটিস পেয়েই, ফেসবুক থেকে যাবতীয় পোস্ট মুছে দেন নোবেল। তার কিছুদিন পরেই রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘আমার পরাণ যাহা চায়’ গেয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন সঙ্গীতশিল্পী।
আরও পড়ুন: Chanchal Chowdhury: ‘মুন্নাভাই ৩’ ছবিতে সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে চঞ্চল চৌধুরী! মুখ খুললেন অভিনেতা
গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পেলেও তাঁর নানা কাণ্ডের জেরে বারংবার সমালোচনার মুখে পড়েছেন নোবেল। তবে এবার গান গেয়েই ট্রোলের মুখে পড়েন নোবেল। অনেকেই তাঁর গানের প্রশংসা করেছেন। কিন্তু ভালো গান গাওয়ার পাশাপাশি তাঁর মানসিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এক নেটিজেন তাঁর উচ্চারণে ভুলও ধরেছেন। ‘তোমাতে করিব বাস’-এর বদলে নোবেল গেয়েছেন ‘তোমাতে করিব বাঁশ’, এমনটাই দাবি নেটপাড়ার একাংশের। এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘কত সুন্দর কন্ঠস্বর!ব্যক্তিত্বটা ঠিক রাখলেই হতো’, আরেক নেটিজেন লেখেন, ‘সব হারিয়ে সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছেই হার মানতে হলো?শুভ বুদ্ধির উদয় হোক’, অন্য একজন লিখেছেন, ‘তুমি ভালো হয়ে যাও,কারণ তোমার কন্ঠ, তোমার গান অসম্ভব সুন্দর, ভালো কিছু আশা করি তোমার ব্যক্তিত্বের কাছ থেকে।’
আরও পড়ুন: Tiger Shroff-Disha Patani: দিশা অতীত, বলিউডের জনপ্রিয় নায়িকার প্রেমে মশগুল টাইগার!
প্রসঙ্গত, হিরো আলমের বিকৃত করে গাওয়া রবীন্দ্র সঙ্গীত, নজরুল গীতের সমর্থনে সোশ্যাল মিডিয়ায় নোবেল লেখেন, ‘রবীন্দ্রনাথ-নজরুল তো আর নবী কিংবা দেবতা না যে তাদের গান প্যারোডি আকারে গাওয়া যাবে না! যে রবীন্দ্রনাথ এদেশের কবিদের মূল্যায়ন করে যাই নাই তারে নিয়ে যে এদেশে চর্চা হয় এটাই রবীন্দ্রনাথের জন্য বেশি। তাছাড়া বাংলাদেশের সাহিত্যে যেহেতু রবীন্দ্রনাথের অবদান নিতান্তই কম, নেই বললেই চলে, সেক্ষেত্রে তার গান এদেশের কেউ যদি প্যারোডি আকারে গায় সেটা রবীন্দ্রনাথের জন্যই মঙ্গলজনক’। ওই পোস্টেই থেমে থাকেননি নোবেল।
এরপর ফের একটি পোস্ট করে নোবেল লেখেন, ‘বাংলাদেশে রবীন্দ্র চর্চা বয়কট করা উচিত। আমাদের জাতীয় কবি নজরুল ইসলাম। উনি যখন আমাদের অধিকার রক্ষার জন্য কনডেম সেলে অত্যাচারের শিকার হচ্ছিলেন তখন ব্রিটিশদের চাটুকারিতা করে বিশ্বকবি বিন্দাস আমাদের রক্ত চুষে খাচ্ছিলেন’। রবীন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে প্রথম পোস্টের পর থেকেই এই নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশে। পরের পোস্টটিতে আরও এই নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়ে যায়। এরপরই আইনি নোটিস দেওয়া হয়েছিল নোবেলকে। এরপর রবীন্দ্র গানেই ফেরেন নোবেল।