Nawazuddin Siddiqui: ‘প্রতিমাসে ১০ লক্ষ টাকা পাঠাই’, স্ত্রী আলিয়ার বিরুদ্ধে মুখ খুললেন নওয়াজউদ্দীন
Nawazuddin Siddiqui on Controversy: সোমবার সকালে একটি লম্বা পোস্টে নওয়াজ বলেন, ‘আমার নীরবতার জন্য আমাকে সবাই খারাপ লোক ভাবছে। আমি যে কারণে চুপ করে আছি তা হল, এই সমস্ত তামাশা কোথাও না কোথাও আমার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা পড়বে। কিছু একতরফা, জোর করে বানানো ভিডিয়ো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, প্রেস এবং একদল লোক আমার চরিত্রহননকে উপভোগ করছে। কিছু বিষয় আছে, আমি প্রকাশ করতে চাই...'
Nawazuddin Siddiqui, ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিগত কয়েক বছর ধরে ব্যক্তিগত জীবনের নানা ঘটনা কেন্দ্র করে খবরের শিরোনামে উঠে আসছেন অভিনেতা নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি। বিতর্ক যেন তাঁর পিছুই ছাড়ে না। বিগত কয়েকমাসে তাঁর বিরুদ্ধে বারংবার গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনেছেন তাঁর স্ত্রী আলিয়া সিদ্দিকি। অভিনেতার ভারসোভা বাংলোয় কী অস্বাস্থ্যকর পরিস্থিতি তিনি আর তাঁর দুই সন্তান দিনযাপন করছেন, সেকথাই তিনি তুলে ধরেছেন। তবে সমস্ত অভিযোগের বিরুদ্ধে চুপ থাকাই শ্রেয় মনে করেছেন অভিনেতা। অবশেষে মুখ খুললেন অভিনেতা। সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের কথা লিখেছেন নওয়াজুদ্দীন সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন- Monami Ghosh: বিকিনি পরে সমুদ্র স্নানে ‘মৎস্যকন্যা’ মনামী! ‘মিনি উর্ফি’, খোঁচা নেটপাড়ার...
সোমবার সকালে একটি লম্বা পোস্টে নওয়াজ বলেন, ‘আমার নীরবতার জন্য আমাকে সবাই খারাপ লোক ভাবছে। আমি যে কারণে চুপ করে আছি তা হল, এই সমস্ত তামাশা কোথাও না কোথাও আমার ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা পড়বে। কিছু একতরফা, জোর করে বানানো ভিডিয়ো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম, প্রেস এবং একদল লোক আমার চরিত্রহননকে উপভোগ করছে। কিছু বিষয় আছে, আমি প্রকাশ করতে চাই - প্রথমত, আমি এবং আলিয়া বেশ কয়েক বছর ধরে একসঙ্গে থাকি না, ইতোমধ্যে আমাদের ডিভোর্স হয়ে গেছে কিন্তু আমরা অবশ্যই আমাদের বাচ্চাদের জন্য বোঝাপড়া করে চলছি। কেউ কি জানে, আমার ছেলে-মেয়েরা ভারতে কেন রয়েছে? কেন তারা ৪৫ দিন স্কুলে যায় না? স্কুল থেকে ক্রমাগত আমাকে চিঠি পাঠানো হচ্ছে, জানতে চাওয়া হচ্ছে যে, কেন তারা সক্ুলে যাচ্ছে না? আমার বাচ্চাদের গত ৪৫ দিন ধরে পণবন্দি করে রাখা হয়েছে এবং দুবাইয়ে তাদের স্কুলে পাঠানো হচ্ছে না। ’
আরও পড়ুন- Amitabh Bachchan Injured: বন্ধ শ্যুটিং, প্রোজেক্ট কে-র সেটে দুর্ঘটনা; গুরুতর আহত বিগ বি
স্ত্রী আলিয়ার আর্থিক সাহায্যের কথা বলতে গিয়ে নওয়াজ বলেন, ‘গত চার মাস ধরে দুবাইয়ে সন্তানদের ফেলে রেখে এসেছে শুধুমাত্র আমার থেকে টাকা দাবি করার জনব্য। স্কুলের ফি, চিকিৎসা, ভ্রমণ এবং অন্যান্য অবসরের কাজ বাদ দিয়ে দুবাইয়ে আমার সন্তানদের সঙ্গে যাওয়ার আগে গত ২ বছর ধরে তাঁকে গড়ে প্রতি মাসে প্রায় 10 লক্ষ টাকা এবং সন্তানদের নিয়ে দুবাই যাওয়ার আগে প্রতি মাসে ৫-৭ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। আমি তাঁর ৩টি ছবির জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করেছি, যাতে তিনি নিজের আয় বাড়াতে পারেন, কারণ তিনি আমার সন্তানদের মা। আমার বাচ্চাদের জন্য তাকে বিলাসবহুল গাড়ি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি সেগুলো বিক্রি করে নিজের জন্য খরচ করেছিলেন। আমি আমার সন্তানদের জন্য মুম্বইয়ের ভারসোভাতে একটি বিলাসবহুল সমুদ্রমুখী অ্যাপার্টমেন্টও কিনেছি। আমার বাচ্চারা ছোট বলে আলিয়াকে ওই অ্যাপার্টমেন্টের সহ-মালিক করা হয়েছিল। আমি আমার সন্তানদের দুবাইতে একটি ভাড়া অ্যাপার্টমেন্ট দিয়েছি, যেখানে সেও আরামে থাকত। তিনি শুধু আরও টাকা চান এবং তাই আমার এবং আমার মায়ের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দায়ের করেছেন এবং এটি তাঁর অভ্যাস। তিনি অতীতেও একই কাজ করেছেন এবং যখন তার চাহিদা অনুযায়ী অর্থ প্রদান করা হয় তখন মামলা প্রত্যাহার করে নেন।’
বাড়িতে প্রবেশাধিকার না পাওয়ার প্রসঙ্গে নওয়াজ বলেন, ‘ছুটির সময় যখনই আমার ছেলেমেয়েরা ভারতে আসত, তারা শুধু ঠাকুমার কাছেই থাকত। কীভাবে কেউ তাদের বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারে? সেই সময় আমি বাড়িতে ছিলাম না। কেন সে বের করে দেওয়ার ভিডিও বানালো না, যেখানে সে সব এলোমেলো জিনিসের ভিডিও বানাচ্ছে। তিনি এই নাটকে বাচ্চাদের টেনে এনেছেন এবং তিনি কেবল আমাকে ব্ল্যাকমেল করতে, আমার সুনাম নষ্ট করতে, আমার কেরিয়ার নষ্ট করতে এবং তার অবৈধ দাবিগুলি পূরণ করতে এই সব করছেন’।
নওয়াজউদ্দিনের দাবি, ‘কোনও বাবা-মা চাইবেন না তাদের সন্তান পড়াশোনা থেকে বঞ্চিত হোক বা তাদের ভবিষ্যত ব্যাহত হোক। আজ আমি যা উপার্জন করছি, তা আমার দুই সন্তানের জন্যই এবং কোনো মানুষই এটা পরিবর্তন করতে পারবে না। আমি শোরা ও ইয়ানিকে ভালোবাসি এবং তাদের মঙ্গল ও ভবিষ্যত সুরক্ষিত রাখতে আমি যে কোনও মাত্রায় যাব। আমি এ পর্যন্ত সব মামলা জিতেছি এবং বিচার বিভাগের ওপর আস্থা রেখে যাব। প্রেম কাউকে আটকে রাখার জন্য নয়, বরং একজনকে সঠিক দিকে উড়তে দেওয়ার জন্য।’