মাদক মামলায় Shah Rukh পুত্র Aryan-কে NCB হেফাজতের নির্দেশ আদালতের
মাদকদ্রব্য সেবনের পাশাপাশি মাদক কেনা ও বেচার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মাদক মামলায় শাহরুখ পুত্র আরিয়ানকে একদিনের NCB হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। মাদকদ্রব্য সেবনের পাশাপাশি মাদক কেনা ও বেচার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। রবিবার ১৬ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে। ছেলের জন্য বিশিষ্ট আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডেকে নিয়োগ করেছেন শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan)। রবিবার কোর্টে পেশ করা হয় আরিয়ান, আরবাজ ও মুনমুন ধামেচাকে। প্রমাণ হিসাবে এদিন আরিয়ানের হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের তথ্য কোর্টে দাখিল করে NCB। সেই তথ্য থেকেই জানা যায় মাদকপাচারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল আরিয়ানের। তবে এদিন আরিয়ানের আইনজীবী দাবি করেন যে এই পার্টিতে যাওয়ার টিকিটও ছিল না আরিয়ানের কাছে, তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এমনকি আরিয়ানের কাছে কোনও মাদকদ্রব্য ছিল না। তাই তাঁকে গ্রেফতার করাই ভুল, বলে দাবি করেন আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে। এদিন কোর্টে তিন অভিযুক্তকে ৫ অক্টোবর অবধি হেফাজতে রাখার আবেদন জানায় NCB। তবে দুদিন নয়, তাঁকে একদিনের NCB হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। শনিবার রাতে গোয়াগামী এক প্রমোদতরী থেকে শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান (Aryan Khan) সহ আটজনকে আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর কর্তারা। দীর্ঘক্ষণ আরিয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বাজেয়াপ্ত করা হয় তাঁর ফোন। খতিয়ে দেখা হয়, শেষ কয়েকদিন কার কার সঙ্গে ফোনে ও হোয়াটস অ্যাপে কথা বলেছেন আরিয়ান। এরপরই আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচাকে গ্রেফতার করে NCB।
রবিবার সকাল থেকেই চলে জিজ্ঞাসাবাদ। সেই জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জুতো থেকে শুরু করে চোখের লেন্সের বাক্সে লুকানো ছিল মাদক। আরিয়ানের কাছ থেকে পাওয়া গেছে ১৩ গ্রাম কোকেন, ৫ গ্রাম এমডি, ২১ গ্রাম চরস, ও MDMA-র ২২ টি পিল এবং নগদ এক লক্ষ তেত্রিশ হাজার টাকা। উদ্ধার হওয়া টাকার হিসেব দিতে পারেননি তাঁরা কেউই। একাধিক ধারায় মামলা করা হয়েছে আরিয়ানের বিরুদ্ধে। NDPS ১৯৮৫ আইনের ৮সি, ২৭, ২২ নম্বর ধারা, এছাড়া MDMA ও এক্সট্যাসি আইনের অন্তর্গত ১৪(১), ১৪ (বি), ২০(বি) ধারায় মামলা করা হয়েছে আরিয়ানের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে অনেকগুলোই জামিন অযোগ্য ধারা।
আরও পড়ুন: Aryan Khan: MMS কাণ্ড থেকে মাদক মামলায় গ্রেফতারি, বারংবার বিতর্কের মুখে Shah Rukh পুত্র আরিয়ান
এনসিবি সূত্রের খবর, সকাল থেকেই জেরা করা হয় আরিয়ানকে। সূত্রের খবর মাদক নেওয়ার কথা স্বীকার করেন আরিয়ান। NCB-র তরফ থেকে জানানো হয়,'বলিউডের স্টার হোক বা রাজনৈতিক নেতা কারোরই কোনও প্রভাব পড়বে না এই মামলায়। নিরপেক্ষভাবেই এই মামলার তদন্ত চলবে। গত একবছরে প্রায় ৩০০ টি অভিযান চালিয়েছে এনসিবি। আগামী দিনেও এই অভিযান চলবে।' আরিয়ান ও তাঁর বন্ধুদের জেরা করে মুম্বইয়ে বেশ কিছু মাদক চক্রের হদিশ পায় এনসিবি। ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু হয়েছে মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায়। এনসিবির তরফ থেকে দাবি, এই প্রথম নয়, এর আগেও আরবাজ মার্চেন্টের সঙ্গে মাদক পার্টিতে সামিল হয়েছেন আরিয়ান। তাঁদের সূত্র ধরে মুম্বই থেকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে এক মাদকপাচারকারীকে।
শনিবার রাতে কিছুটা ফিল্মি কায়দাতেই হানা দিয়েছিল NCB। তাঁরা জানতে পারে রেভ পার্টি হওয়ার কথা আছে মাঝ সমুদ্রে। যাত্রী বেশে হাজির হন নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর কর্তারা। আর তারপর পার্টি শুরু হলে আটক করা হয় আট জনকে। শোনা যায় গত দুসপ্তাহ ধরেই তাঁদের উপর নজর রেখেছিল এনসিবি। সেই পার্টি থেকেই অফিসাররা আটক করেন আটজনকে। সেখান থেকে তাঁদের নিয়ে আসা হয় দক্ষিণ মুম্বইয়ের বলার্ড এস্টেট অফিসে। মাদক নেওয়ার অভিযোগে আটক করা হয় ছয়জন পুরুষ ও দুই জন মহিলাকে। আরিয়ান ছাড়াও যে সাতজনের নাম উল্লেখ আছে এই তালিকায়, তাঁরা হল মুনমুন ধামেচা, নুপূর সারিকা, ইশমিত সিং, মোহক জয়সওয়াল, বিক্রান্ত চোকার, গোমিত চোপড়া ও আরবাজ মার্চেন্ট। এদের মধ্যে মোহক,নুপূর ও গোমিত তিনজন দিল্লির বাসিন্দা, বাকিরা থাকেন মুম্বইয়ে। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হলেও গ্রেফতার করা হয় আরবাজ, আরিয়ান ও মুনমুনকে।