Tollywood: বারবার অভিনেতাদের 'চরম' পদক্ষেপ! দায়িত্ব এড়াতে পারে টলিপাড়া? কী ভাবছে আর্টিস্ট ফোরাম?
এখন প্রশ্ন হল, যে ছেলে বা মেয়েটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেশি সময়টা এই টালিগঞ্জে থাকেন, তাঁদের জন্য একটা হেল্পলাইন নম্বর বা মনোবিদের পরামর্শর ব্যবস্থা কি করা যায় না? কি বললেন শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, ভরত কৌল?
তনুজিৎ দাস: ২০১৫ অভিনেত্রী দিশা গঙ্গোপাধ্য়ায়। ২০১৭ অভিনেত্রী বিতস্তা সাহা। ২০১৮ অভিনেত্রী পায়েল চক্রবর্তী এবং অভিনেত্রী মৌমিতা সাহা। ২০২২-এর মে মাস, অভিনেত্রী পল্লবী দে (Pallavi Dey), মডেল বিদিশা দে মজুমদার (Bidisha De Majumder) এবং সর্বশেষে মডেল-অভিনেত্রী মঞ্জুষা নিয়োগী (Manjusha Neogi)। কর্মক্ষেত্রে ব্যর্থতা হোক কিংবা সম্পর্কের টানাপোড়েন, বারবারই আত্মহননে মতো চরম পথ বেছে নিয়েছেন গ্ল্যামার জগতের সঙ্গে যুক্ত নায়িকারা। ইহজগতের সমস্ত অসুবিধা থেকে মুক্তির এক ভয়াল পথে হেঁটেছেন তাঁরা। কেন?
সম্প্রতি পল্লবী দে'র মৃত্যুর পর ইন্ডাস্ট্রির বহু প্রবীণ ব্যক্তি জানিয়েছেন, ব্যর্থতার জ্বালা সহ্য না করতে পারা এবং ধৈর্যহীনতা-এর অন্যতম কারণ। তাঁদের মতে, বহুক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে মফঃস্বল চোখে অনেক স্বপ্ন নিয়ে এই টলিপাড়ায় আসেন তরুণ-তরুণী বা যুবক-যুবতীরা। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন, ক্ষণিকের সাফল্যে এদের অনেকেরই মাথা ঘুরে যায়। 'রিল এবং রিয়েল'-এর ফারাকটা করার শক্তিই হারিয়ে ফেলেন অনেকে। এরপর কোনও একদিন রূঢ় বাস্তবের মুখোমুখি হলেই ব্যাশ! সরাসরি চরম পথ বেছে নেন।
এখন প্রশ্ন হল, যে ছেলে বা মেয়েটি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেশি সময়টা এই টালিগঞ্জে থাকেন, তাঁদের জন্য একটা হেল্পলাইন নম্বর বা মনোবিদের পরামর্শর ব্যবস্থা কি করা যায় না? টলিপাড়া কি এই দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে?
এই বিষয়ে Zee ২৪ ঘণ্টাকে কনসালট্যান্ট সাইক্রিয়াটিস্ট জয়রঞ্জন রাম বলেন, "এই পেশায় যাঁরা আসেন, তাঁদের অনেকেই তরুণ-তরুণী। আসন্ন প্রতিকূলতা সম্পর্কে, তাঁদের অনেকেরই হয়ত ধারণা থাকে না। সেজন্য যাঁরা ইন্ডাস্ট্রিতে সিনিয়র রয়েছেন, তাঁদের একটা দায়বদ্ধতা থাকে। এছাড়া অবশ্যই বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত একটা হেল্পলাইন নম্বর শুরু করা প্রয়োজন। সেটার প্রচার প্রয়োজন। আজকাল বহু সেক্টরেই এমন উদ্যোগ শুরু হয়েছে। সেখানে মনোবিদরাও থাকেন।"
কী বলছে টলিউডের আর্টিস্ট ফোরাম?
Zee ২৪ ঘণ্টার তরফে যোগাযোগ করা হলে, এই ভাবনার প্রশংসা করেন আর্টিস্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক তথা অভিনেতা শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় (Shantilal Mukherjee)। ফোরামের পরবর্তী বৈঠকে হেল্প লাইন চালুর কথা উত্থাপন করবেন বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: Pallavi Dey-Dagar Tudu: ডগররা যদি জিততে পারে, পল্লবীরা কেন হাল ছেড়ে দেয়?
ভাবনাকে স্বাগত জানিয়েছেন ফোরামের সহ-সভাপতি ভরত কৌলও (Bharat Kaul)। তিনি বলেন, "যে ঘটনাগুলো ঘটছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। একটা হেল্পলাইন শুরুর কথা কমিটির কাছে রাখা যেতেই পারে। ভাবনাটা খুবই ভাল। মনোবিদদের ব্যবস্থাও করা যেতে পারে।"