Actress Suicide Attempt : দেবলীনা দে-র আত্মহত্যার চেষ্টা, অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে চিরকুট উদ্ধার করল পুলিস
তদন্তে নেমে চিরকুটটি অভিনেত্রীর ঘর থেকে পুলিস উদ্ধার করে।
অয়ন ঘোষাল : দেবলীনা দে-র আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় অভিনেত্রীর ঘর থেকে চিরকুট উদ্ধার করল পুলিস। জানা যাচ্ছে, আত্মহত্যার চেষ্টা করার আগে নিজের ডায়েরির পাতায় একটি নোট লিখেছিলেন দেবলীনা। যেটি অভিনেত্রী ফেসবুকে পোস্টও করেছিলেন, পরে অবশ্য সেই পোস্টটি মুছে দেন তিনি। পরে তদন্তে নেমে চিরকুটটি অভিনেত্রীর ঘর থেকে পুলিস উদ্ধার করে।
Zee ২৪ ঘণ্টার হাতে এসেছে সেই চিরকুটের একটি স্ক্রিনশট। যেখানে অভিনেত্রী নিজের পরিবারকে দায়ী করার পাশাপাশি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে যুক্ত বেশকিছু ব্যক্তির নাম উল্লেখ করেছেন। পুলিস সূত্রে খবর, এই চিরকুটে যাঁদের নাম উল্লেখ রয়েছে, তাঁরা পুলিসের নজরে রয়েছেন। তবে এবিষয়ে দেবলীনার জ্ঞান ফিরলে পুলিস তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বলে খবর।
আরও পড়ুন-পল্লবী, বিদিশাদের মৃত্যু নিয়ে রচনাকে সমর্থন, তারপরেও কেন আত্মহত্যার চেষ্টা দেবলীনার?
জানা যাচ্ছে, দেবলীনা দে (২৭) কালনার বাসিন্দা। বিগত দেড় বছর ধরে মুকুন্দপুর এলাকার উত্তলিকা আবাসনে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকছিলেন। সিরিয়ালেও কিছু কিছু কাজ পেতেন। তবে উপার্জন খুব একটা হচ্ছিল না। পরিবারের সঙ্গে এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই মনোমালিন্য চলত বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরাই।
পরিবার সূত্রে খবর, মাসে দশ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, রান্নার লোকের বেতন এমনকি বাজার করে দেওয়ার টাকাও তারাই যোগাতেন। ২২ জুন দেবলীনার আঠাশতম জন্মদিনে ঘটনা চরমে ওঠে। কালনায় নিজের পৈতৃক বাড়িতে সন্ধে বেলা পার্টির পর বাবার কাছে নতুন একটি ফ্যাশন বুটিক খোলার জন্য লক্ষাধিক টাকা চাইতেই বেঁকে বসেন বাড়ির সকল সদস্য। সব থেকে বেশী প্রতিবাদ করে ভাই। ফলে ভাইয়ের সঙ্গে বচসা এমনকি হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন দেবলীনা।
জানা যাচ্ছে, সেদিন রাতেই ওয়াটস্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টা থেকে ভাইকে ব্লক করেন তিনি। পরের দিন বিকেলে একটি গাড়ি ভাড়া করে দেবলীনাকে কলকাতায় পাঠানো হয়। মেয়ে মুডি এবং শর্ট টেম্পার, তার ওপর আগের দিন বাড়িতে এতো অশান্তি হয়েছে। তাই মা সঙ্গে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মাকে আসতে বারণ করে মেয়ে। গতকাল অর্থাৎ ২৪ জুন নরেন্দ্রপুরে একটি বাগান বাড়িতে একটি মিউজিক ভিডিয়োর শুট ছিল তাঁর। সেখানে সকালে গিয়ে দুপুরের পর কাউকে কিছু না জানিয়ে হঠাৎ নিরুদ্দেশ হয়ে যান দেবলীনা দে। বন্ধ করে দেন নিজের মোবাইল। তারপর ফেসবুকে পরিবারের বিরুদ্ধে একটি পোস্ট করে রাতে বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ খান। ভোর রাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।