Pori Moni: 'এতো লোকের মাঝে...' শ্লীলতাহানির বর্ণনা দিতে গিয়ে আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়লেন পরীমণি...
Pori Moni: দুই বছর আগে সাভারের বোট ক্লাবে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগের মামলায় সাক্ষ্য দিতে সোমবার আদালতে যান বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সেই সময় ঘটনার বর্ণনা করতে পারছিলেন না পরীমণি। কিছু বিবরণ দিয়ে একপর্যায়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করে তিনি। এই কারণে আগামী ধার্য তারিখ থেকে মামলার বিচার ক্যামেরা ট্রায়ালে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বছর দুই আগে, রাতে ঢাকা বোট ক্লাবে(Dhaka Boat Club Case) শ্লীলতাহানি ও মারধরের শিকার হয়েছিলেন পরীমণি(Pori Moni), এমনটাই অভিযোগ করে তিন জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন অভিনেত্রী। সেই মামলা চলছে প্রায় ২ বছর। সোমবার ২৪ জুলাই ছিল সেই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন। সময় মতো আদালতে পৌঁছান অভিনেত্রী। কিন্তু সাক্ষ্য দিতে গিয়ে কাঠগড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েন পরীমণি। সেই সময় আদাতে উপস্থিত ছিলেন অনেক মানুষ। কাঁদতে কাঁদতে অভিনেত্রী বলেন, এত লোকের সামনে ঘটনার বর্ণনা দেওয়া তার পক্ষে অসম্ভব।
আরও পড়ুন- Ankush Hazra: আদৌ কি যোগ্য? মহানায়ক সম্মান পেয়ে প্রশ্ন তুললেন অঙ্কুশ নিজেই...
সোমবার, ২৪ জুলাই ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯ এর বিচারক শাহিনা হক সিদ্দিকীর আদালতে দুপুরে পৌনে একটার দিকে সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন। সেই সময় আদালতে আইনজীবী, সাংবাদিক, পুলিসসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সকলের সামনে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে, সেদিন রাতে বোট ক্লাবে ঠিক কী ঘটেছিল তার বিস্তারিত বর্ণনা দিতে ইত:স্তত বোধ করছিলেন পরীমণি।
সেইসময় ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর শহীদ হোসেন বিচারকের উদ্দেশে বলেন, ‘এই জনাকীর্ণ আদালতে পরীমণি হয়তো সেদিনকার ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ দিতে পারছেন না। আইনে এই ধরনের মামলায় ক্যামেরা ট্রায়ালের অর্থাৎ রুদ্ধদ্বার এজলাসে বিচার করার বিধান রয়েছে’। এরপরে পরীমণির উদ্দেশে বিচারক বলেন, ‘আপনি যদি মনে করেন ক্যামেরা ট্রায়ালে সব ঘটনা খুলে বলবেন, তাহলে অবশ্যই ক্যামেরা ট্রায়ালে হবে। আপনার সাক্ষ্যগ্রহণকালে আপনার আইনজীবী ও আসামীপক্ষের আইনজীবী ছাড়া আর কেউ সেখানে থাকবেন না। আপনি কি ক্যামেরা ট্রায়ালে সাক্ষ্য দিতে চান’?
আরও পড়ুন- Ranveer-Alia in Kolkata: মমতার নাম সহ বাদ পড়েছে ‘খেলা হবে’ সংলাপ? কলকাতায় এসে মুখ খুললেন আলিয়া...
বিচারকের প্রশ্নের জবাবে নায়িকা বলেন, ‘মাননীয় আদালত, সেদিনকার ঘটনা মনে পড়লে আমি আজও ট্রমাটাইজ হয়ে যাই’। পরীমণি এই কথা বলে আবারও কাঁদতে থাকেন অভিনেত্রী। বিচারক পরীমণির কাছে জানতে চান, ‘আপনি কি সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ফিট আছেন?’ পরীমণি বলেন, ‘আজকে ফিট না। প্রিপেয়ার হয়ে আসিনি। আর সবার সামনে এসব কথা বলতে চাইছি না।’ আদালত তখন পরীমণিকে বলেন, ‘ক্যামেরা ট্রায়ালে সাক্ষ্যগ্রহণ হবে’। বিচারক জানিয়ে দেন যে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। এরপরেই বিচারক এজলাস ত্যাগ করেন।
পরীমণি যখন আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন, তখন আদালতে উপস্থিত ছিলেন তিন অভিযুক্তের দুই অভিযুক্ত ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী। মামলার অপর আসামী শাহ শহিদুল আলম এদিন আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার পক্ষে আদালতের নিকট সময় চাওয়া হয়। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৪ জুন শ্লীলতাহানির অভিযোগে সাভার থানায় পরীমণি মামলাটি করেন। মামলাটি তদন্ত করে ৬ সেপ্টেম্বর নাসির, তুহিন ও শহিদুলের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিস।
আরও পড়ুন- Oti Uttam Prevue: প্রকাশ্যে সৃজিতের ‘অতি উত্তম’ ছবির প্রিভিউ, দাদুর সঙ্গে একই পর্দায় গৌরব...
এ বিষয়ে পরীমণির আইনজীবী নীলঞ্জনা রেফাত সুরভী সাংবাদিকদের জানান, আদালতে অনেক আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ থাকায় বাদী তার সাক্ষ্য দিতে পারেননি। এছাড়া অসুস্থতা নিয়ে আদালতে এসেছিলেন তিনি। সকাল থেকে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করার পর আরও বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে আমরা ক্যামেরা ট্রায়ালের আবেদন করি। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন।