সেন্সর বোর্ডের অপেক্ষায় না থেকেই ইউটিউবে মুক্তি পেতে চলেছে 'কিল দ্য রেপিস্ট'

প্রতিবাদের মুখ যে কখনই থামানো যায় না তা প্রমাণ হল আরও একবার। নির্ভয়ার ওপর তৈরি তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ইউটিউব থেকে তথ্যচিত্র তুলে নেওয়ার আগেই যেভাবে সাড়া পড়ে গিয়েছিল দেশে তা উদ্বুদ্ধ করেছে মুম্বইয়ের প্রযোজক সিদ্ধার্থ এম জৈনকে। আর তাই নিজের ছবি কিল দ্য রেপিস্ট? দেশে মুক্তির ছাড়পত্র পাওয়ার আগেই ইউটিউবে আপলোড করে দিতে চান সিদ্ধার্থ।

Updated By: Mar 10, 2015, 05:20 PM IST
সেন্সর বোর্ডের অপেক্ষায় না থেকেই ইউটিউবে মুক্তি পেতে চলেছে 'কিল দ্য রেপিস্ট'

ওয়েব ডেস্ক: প্রতিবাদের মুখ যে কখনই থামানো যায় না তা প্রমাণ হল আরও একবার। নির্ভয়ার ওপর তৈরি তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ইউটিউব থেকে তথ্যচিত্র তুলে নেওয়ার আগেই যেভাবে সাড়া পড়ে গিয়েছিল দেশে তা উদ্বুদ্ধ করেছে মুম্বইয়ের প্রযোজক সিদ্ধার্থ এম জৈনকে। আর তাই নিজের ছবি কিল দ্য রেপিস্ট? দেশে মুক্তির ছাড়পত্র পাওয়ার আগেই ইউটিউবে আপলোড করে দিতে চান সিদ্ধার্থ।

সিদ্ধার্থের সংস্থা আইরক মিডিয়া প্রযোজিত ছবি পরিচালনা করেছেন সঞ্জয় ছেল। চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি। ২০১২ সালে দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় এই ছবি তৈরি করেন সিদ্ধার্থ। একটি চেম্বারে এক পুরুষের একসঙ্গে ৩ মহিলাকে ধর্ষণের চেষ্টা নিয়ে ছবি এখনও পায়নি সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র। ছবি মুক্তির আলো দেখবে কিনা তা এখনও অনিশ্চিত। তাই এপ্রিলের মাঝামাঝি ৯০ মিনিটের এই থ্রিলার ইউটিউবে রিলিজের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রযোজক।

সিদ্ধার্থ বলেন, গত এক বছরে পৃথিবী বদলে গিয়েছে। এখনও যেকোনও স্বল্প বাজেটের ছবিও বিশ্বের দরবারে সহজে পৌঁছে যেতে পারে। আমি গত ২ মাস ধরে অনলাইন রিলিজের কথা ভাবছি। হঠাত্ই একদিন সকালে শুনলাম ইন্ডিয়াস ডটার ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি। দিল্লির প্রেক্ষাপটে তৈরি ছবি আবর্তিত হয়েছে মূল চরিত্র অঞ্জলি(অঞ্জলি পাতিল) ও এক পুরুষ(সানি হিন্দুজাকে) ঘিরে। সেই পুরুষ অঞ্জলির ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। অঞ্জলির বন্ধুরা উল্টে ধর্ষককে আক্রমণ করে তাকে মক ট্রায়ালের সম্মুখীন করে। ছবিতে সমাজের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছে ধর্ষকদের কী শাস্তি হওয়া উচিত্‍? বা ধর্ষকদের কি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া উচিত্‍?

২০১৩ সালের অগাস্ট মাসে শুটিং শেষ হয়েছিল কিল দ্য রেপিস্টের। দিল্লি গণধর্ষণের দ্বিতীয় বর্ষে অর্থাত্‍ ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর ছবি মু্ক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আইরকস। কিন্তু, সেন্সর বোর্ডের পছন্দ হয়নি এই ছবি। প্রযোজক জানান, ছবির ট্রেলর মুক্তির পরই যেই সাড়া পেয়েছিলাম, আস্তে আস্তে তা কেমন যেন ঝিমিয়ে আসতে থাকে। ইন্ডিয়াস ডটার আবার সেই উত্‍সাহ ফিরিয়ে এনেছে আমার।

দেখুন ট্রেলর,

 

.