Rupankar Bagchi : কেকে কাণ্ডে পাশে ছিলেন না, রূপঙ্করের অভিযোগের পাল্টা জবাব রাঘবের
কেকে বিতর্ক যেন কিছুতেই রূপঙ্করের পিছু ছাড়ছে না। এখনও মাঝে মধ্যেই সে কারণে সোশ্যালে ট্রোলের মুখে পড়তে হয় রূপঙ্কর বাগচীকে। সম্প্রতি ২৪ ঘণ্টার 'লাইমলাইট' অনুষ্ঠানে আরও একবার উঠে এল কেকে বিতর্কের কথা। অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন রূপঙ্কর বাগচী। কেকে বিতর্কের পর মূলত বাংলার শিল্পীরা দুভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে গায়িকা ইমন চক্রবর্তী, রাঘব চট্টোপাধ্যায়রা যেমন রূপঙ্করের মন্তব্যের বিরোধিতা করেছিলেন। তেমনই রূপঙ্করের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রূপম ইসলাম, নচিকেতার মতো শিল্পীরা। আবার রূপঙ্করকে নোংরা ভাষায় ট্রোলিংয়ের বিরোধিতা করেছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়রা।
Rupankar Bagchi, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেকে বিতর্ক যেন কিছুতেই রূপঙ্করের পিছু ছাড়ছে না। এখনও মাঝে মধ্যেই সে কারণে সোশ্যালে ট্রোলের মুখে পড়তে হয় রূপঙ্কর বাগচীকে। সম্প্রতি ২৪ ঘণ্টার 'লাইমলাইট' অনুষ্ঠানে আরও একবার উঠে এল কেকে বিতর্কের কথা। অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন রূপঙ্কর বাগচী। কেকে বিতর্কের পর মূলত বাংলার শিল্পীরা দুভাবে ভাগ হয়ে গিয়েছিলেন। এদের মধ্যে গায়িকা ইমন চক্রবর্তী, রাঘব চট্টোপাধ্যায়রা যেমন রূপঙ্করের মন্তব্যের বিরোধিতা করেছিলেন। তেমনই রূপঙ্করের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রূপম ইসলাম, নচিকেতার মতো শিল্পীরা। আবার রূপঙ্করকে নোংরা ভাষায় ট্রোলিংয়ের বিরোধিতা করেছিলেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়রা।
কেকে প্রসঙ্গে রূপঙ্করের মন্তব্যের সঙ্গে তিনি একমত নন। সেসময় এমনই পোস্ট করেছিলেন রাঘব চট্টোপাধ্যায়। সেপ্রসঙ্গে 'লাইমলাইট'-এ রূপঙ্কর বলেন, 'ওঁর কাছ থেকেও ওই পোস্টটা এক্সপেক্টেড (আশাতীত)। কারণ আমার উপর রাগটা ও লুকোতে টুকোতে পারেনি। অনেক জায়গাতেই ও সেটা দেখিয়ে ফেলেছে।' রূপঙ্কর বাগচীর এই মন্তব্য নিয়েই Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের তরফে রাঘব চট্টোপাধ্যায়কে পাল্টা প্রশ্ন করা হয়। রাঘব বলেন, 'তাই বুঝি, এটা বলেছে! আমার কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে কারোর প্রতি কোনও রাগ নেই। তবে ও যেটা বলেছিল, সেটাকে আমি সমর্থন করিনি। এখানে রাগ, দুঃখ, অভিমানের কোনও বিষয় নেই। সমর্থন করিনি ওই পর্যন্তই। আমরা খুব ভালো বন্ধু, আমাদের মধ্যে কিন্তু কোনও রাগারাগি নেই। বিভিন্ন জায়গায় দেখা হয় আমাদের। আমি জানি না কেন ও এই কথাটা বলেছে।'
আরও পড়ুন-'আমি ইনসিকিওরড হলে রূপঙ্করদাও ইনসিকিওরড'
রাঘব আরও বলেন, 'আমি পোস্ট করেছিলাম, আমি ভীষণ কেকের ভক্ত। ব্যক্তিগতভাবেও আলাপ ছিল, আমি ওঁর সঙ্গে পারফর্মও করেছি। তাই কথাটা মোটেও আমি সমর্থন করি না। কারোর নাম নিয়ে বলাটাও সমর্থন করিনা। ব্য়ক্তিগতভাবে আমি রূপঙ্করকে কিছু বলিনি। ওঁর প্রতি আমার কোনও রাগও নেই।'
এদিকে লাইমলাইটে এসে ইমনের বিরোধিতা প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন রূপঙ্কর। তাঁর কথায়, তিনি ঠিক কী বলেছিলেন, আর কেনইবা বলেছিলেন অনেকেই তা বুঝতে পেরেছিলেন, তবে বিতর্কের ভয়ে কেউ কিছু বলতে চাননি। কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে ইমনের বিরোধিতার প্রসঙ্গ। তখন রূপঙ্কর বলেন, 'ইমন লড়াকু, জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন এখন। কিন্তু আমার এও মনে হয়, এত জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেও ও খুব ইনসিকিওরড (নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন)। যদিও আমরা সবাই এই প্রফেশনে ইনসিকিওরড। তবে উনি হয়ত একটু বেশিই ইনসিকিওরড। সেই কারণেই উনি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন। ভেবেছিলাম ওঁকে বলব, ফেসবুক লাইভ না করলেই পারতেন। তবে হয়ত ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন, যে প্রোগ্রাম চলে যাবে। শো চলে যাবে। এত ভয় না পেলেও চলবে।' শুধু তাই নয়, কেকে বিতর্কের পর ঠিক কাদের তিনি পাশে পেয়েছেন, আর কাদের পাননি। প্রায় তাঁদের সবার নাম ধরে ধরে কথা বলেন রূপঙ্কর বাগচী।