Rupankar Bagchi: 'আমি ইনসিকিওরড হলে রূপঙ্করদাও ইনসিকিওরড'
কেকে-র মৃ্ত্যুর ঠিক আগের দিনের ঘটনা। 'হু ইজ কেকে ম্যান?' ফেসবুক লাইভে মন্তব্য করে বসেছিলেন রূপঙ্কর বাগচী। যা নিয়ে কিছু কম বিতর্ক হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপঙ্করকে তুলোধনা করেন নেটনাগরিকদের একাংশ। সেসময় রূপঙ্কর বাগচীর মন্তব্যে প্রতিবাদ জানিয়েছেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী সহ আরও অনেকেই। কেউ কেউ অবশ্য রূপঙ্করের পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন। সম্প্রতি ২৪ ঘণ্টার 'লাইমলাইট' অনুষ্ঠানে আরও একবার উঠে এল সেই প্রসঙ্গ। অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন রূপঙ্কর বাগচী।
Iman Chakraborty, Rupankar Bagchi, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেকে-র মৃ্ত্যুর ঠিক আগের দিনের ঘটনা। 'হু ইজ কেকে ম্যান?' ফেসবুক লাইভে মন্তব্য করে বসেছিলেন রূপঙ্কর বাগচী। যা নিয়ে কিছু কম বিতর্ক হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় রূপঙ্করকে তুলোধনা করেন নেটনাগরিকদের একাংশ। সেসময় রূপঙ্কর বাগচীর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী সহ আরও অনেকেই। কেউ কেউ অবশ্য রূপঙ্করের পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন। সম্প্রতি ২৪ ঘণ্টার 'লাইমলাইট' অনুষ্ঠানে আরও একবার উঠে এল সেই প্রসঙ্গ। অনুষ্ঠানের অতিথি ছিলেন রূপঙ্কর বাগচী।
কেকে-বিতর্কের পর মূলত বাংলার শিল্পীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গিয়েছিলেন। কেউ কেউ যেমন রূপঙ্করের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন। তেমনই অনেকে ঘটনার পর রূপঙ্কর বাগচীকে ট্রোলের তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন। সেপ্রসঙ্গই 'লাইমলাইট' অনুষ্ঠানে আরও একবার উঠে এসেছিল। রূপঙ্করের কথায়, তিনি ঠিক কী বলেছিলেন, আর কেনইবা বলেছিলেন অনেকেই তা বুঝতে পারেছিলেন, তবে বিতর্কের ভয়ে কেউ কিছু বলতে চাননি। কথা প্রসঙ্গে উঠে আসে ইমনের বিরোধিতার প্রসঙ্গ। তখন রূপঙ্কর বলেন, 'ইমন লড়াকু, জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন এখন। কিন্তু আমার তাও মনে হয়, এত জনপ্রিয়তার শীর্ষে থেকেও ও খুব ইনসিকিওরড (নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন)। যদিও আমরা সবাই এই প্রফেশনে ইনসিকিওরড। তবে উনি হয়ত একটু বেশিই ইনসিকিওরড। সেই কারণেই উনি ফেসবুক লাইভ করেছিলেন। ভেবেছিলাম ওঁকে বলব, ফেসবুক লাইভ না করলেই পারতেন। তবে হয়ত ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন, যে প্রোগ্রাম চলে যাবে। শো চলে যাবে। এত ভয় না পেলেও চলবে।'
আরো পড়ুন-সেলফি তুলতে গিয়ে ধাক্কা, 'কী করছিস তুই?' চেঁচিয়ে বললেন হৃত্বিক
আরও পড়ুন-পরপর দুই সন্তান! ‘বউ যখন এত সুন্দরী তখন আর ধৈর্য্য ধরা যায় না’, জবাব গুরমীতের
তাঁকে 'ইনসিকিওরড' বলা প্রসঙ্গেই Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের তরফে ইমন চক্রবর্তীকে পাল্টা প্রশ্ন করা হয়। ইমন প্রথমে বলেন, 'নানা, এটা নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই।' তবে তারপরই ইমন জানান, 'আমি একজন একা মেয়ে, একা নিজের জীবনটা লড়েছি। অবশ্য মেয়ে বা ছেলে বলে নয়, যে যাঁর লড়াই একা-ই লড়ে। ইনসিকিওরড থাকলে কেউ এই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে পারেন না। বিশেষকরে আমি বা রূপঙ্করা যে প্রফেশনটাকে বেছে নিয়েছি, সেটা মন থেকে শক্ত মানুষ না হলে, কেউ বেছে নিতে পারেন না। সবার আগে একজন শিল্পী হতে হলে, তাঁকে মন থেকে শক্ত হতে হয়। রূপঙ্কর দা যদি আমায় ইনসিকিওরড বলে থাকেন, তাহলে বোধহয় রূপঙ্করদা কোথাও গিয়ে নিজেকেও ইনসিকিওরড-ই ভাবছেন। কারণ, একশিল্পীকে ইনসিকিওরড বলছেন, উনিও তো একজন শিল্পী, উনিও কোথাও গিয়ে ইনসিকিওরড।' ইমন প্রোগ্রাম চলে যাওয়ার ভয় পেয়েছেন, রূপঙ্করের এই কথায় ইমন বলেন, 'এটা রূপঙ্করদা ওঁর নিজের মতো করে বলেছেন।তবে আমার প্রতিবাদের জায়গাটাই আলাদা ছিল। আমার প্রতিবাদের বক্তব্য ছিল একজন শিল্পী আরেকজনকে ছোট করে বড় হতে পারে না।'