Anjan Dutt-Rana Sarkar: ৫৭ লক্ষ ক্ষতিপূরণের মামলায় জেরবার অঞ্জনের 'বেলা বোস'
Anjan Dutt-Rana Sarkar: রাণা সরকার জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে জানান, ‘অঞ্জন দত্তের আমার সঙ্গে বেলা বোস ছবিটি করার কথা ছিল। ছবির কথা পুরোপুরি ফাইনাল করে আমার থেকে এই ছবির জন্য অ্যাডভান্স পেমেন্ট নেন। কিন্তু এরপর হঠাৎই বলেন যে ছবিটি তিনি করবেন না। তারপর শুনলাম যে অন্য এক প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে তিনি ছবিটি করার চেষ্টা করছেন। '
Rana Sarkar-Anjan Dutt, সৌমিতা মুখোপাধ্যায়: আইনি জটিলতায় অঞ্জন দত্তের ছবি ‘বেলা বোসের জন্য’, ছবির উপর স্থগিতাদেশ জারি করল আদালত। ২০২১ সালে পরিচালক অঞ্জন দত্ত ঘোষণা করেছিলেন যে, রঞ্জনার পর এবার তাঁর গানের বিখ্যাত চরিত্র বেলা বোসকে নিয়ে চিত্রনাট্য লিখবেন তিনি। ছবির নাম ‘বেলা বোসের জন্য’। এই ছবি প্রযোজনা করার কথা ছিল রাণা সরকারের। কিন্তু এরপর নানা কারণে পিছিয়ে যায় ছবির শ্যুটিং। এমনকী ছবি করার পরিকল্পনা বাতিলও করেন অঞ্জন দত্ত। কিন্তু প্রযোজক রাণা সরকারের দাবি যে, এরপর অঞ্জন দত্ত অন্য প্রযোজকের সঙ্গে ছবিটি করছেন। সেই খবর পাওয়া মাত্রই অঞ্জন দত্ত ও তাঁর পুত্র নীল দত্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রযোজক। ক্ষতিপূরণ হিসাবে বাবা ও ছেলের কাছ থেকে ৫৭ লক্ষ টাকা দাবি করেছেন প্রযোজক।
রাণা সরকার জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে জানান, ‘অঞ্জন দত্তের আমার সঙ্গে বেলা বোস ছবিটি করার কথা ছিল। ছবির কথা পুরোপুরি ফাইনাল করে আমার থেকে এই ছবির জন্য অ্যাডভান্স পেমেন্ট নেন। কিন্তু এরপর হঠাৎই বলেন যে ছবিটি তিনি করবেন না। তারপর শুনলাম যে অন্য এক প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে তিনি ছবিটি করার চেষ্টা করছেন। এই ছবির জন্য আমার ক্ষতিও হয়েছে। আমি ক্ষতিপূরণ হিসাবে ওঁর থেকে ৫৭ লক্ষ টাকা দাবি করি। ওঁকে আইনি নোটিস পাঠাই কিন্তু সেই নোটিসের কোনও রিপ্লাই দেননি। এরপর আমরা আদালতে যাই। গতকাল আলিপুর জেলা আদালত এই ছবি তৈরির উপর স্থগিতাদেশ দেয়। অঞ্জন দত্ত অন্য কোনও প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে এই ছবি করতে পারবেন না। আমার ক্ষতিপূরণ ৫৭ লক্ষ টাকা ওঁকে দিতে হবে, এটিই আইনি প্রক্রিয়া চলবে, যদি উনি আমার টাকা ফেরত না দেন তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলা চলবে। প্রথম শুনানিতে ছবির উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। আজ হয়তো নোটিস পেয়ে যাবেন ওঁরা।’
আরও পড়ুন: Ankush: কিং খানের ‘দুই বন্ধু’ বানাচ্ছেন বাংলা ছবি, নায়ক অঙ্কুশ
তবে এ তো গেল প্রযোজকের কথা, কিন্তু যাঁদের বিরুদ্ধে এই বিস্ফোরক অভিযোগ, তাঁরা কী বলছেন? এই বিষয়ে নীল দত্তকে ফোন করা হলে উনি বিষয়টি শুনে কোনও উত্তর না দিয়েই ফোন কেটে দেন। এরপর নীল দত্ত ও অঞ্জন দত্তের সঙ্গে ফের যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি।