Mamata Banerjee | Ritabhari Chakraborty: টলিউডকে দাগিয়ে ছিলেন 'নিষিদ্ধ পল্লী' বলে, এবার মমতার দুয়ারে অভিযোগ ঋতাভরীর!

Tollywood: হেমা কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে বড়সড় রদবদল ঘটে যায়। একাধিক অভিযোগ ওঠে টলিউডেও। কিছুদিন আগেই টলিউডকে ‘সুগার কোটেড ব্রথেল’ বলে উল্লেখ করেছিলেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। এবার সরাসরি মমতার কাছে হাজির অভিনেত্রী।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সম্প্রতি কর্মক্ষেত্রে যৌন হেনস্থা, আরও সূক্ষ্ম করে বলতে গেলে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে যৌন হেনস্থা নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে মলিউড। হেমা কমিটির রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পরেই দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে বড়সড় রদবদল ঘটে যায়। সেই ঘটনার মাঝেই টলিউডেও ওঠে একের পর এক অভিযোগ। সেই সময়েই টলিউডকে ‘সুগার কোটেড ব্রথেল’ বলে উল্লেখ করেন অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উল্লেখ করে তাঁর কাছে আবেদন করলেন, যাতে বাংলার চলচ্চিত্র জগতেও হেনস্থা নিয়ে দ্রুত তদন্ত শুরু হয়। এরপরেই মঙ্গলবার তাঁর ডাক পড়ে নবান্নে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কী নিয়ে আলোচনা? 

নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে ঋতাভরীর আসার খবর ছিল আধিকারিকদের কাছে। বিকেল ৫ টা নাগাদ মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই নবান্নে ঋতাভরীর সঙ্গে দেখা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতোমধ্যেই ফেডারেশন সুরক্ষা বন্ধু নামে একটি কমিটি তৈরি করেছে। শোনা যাচ্ছে হেমা কমিশনের আদলে এ রাজ্যে নারী সুরক্ষার জন্য একটি বিশেষ কমিটি তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কমিটিতে থাকবেন ঋতাভরী? শোনা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হলে টলিপাড়ায় মহিলা শিল্পীদের বর্তমান পরিস্থিতি এবং সুরক্ষা-সহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হবে। তবে সূত্রের দাবি, ঋতাভরী বাংলা চলচ্চিত্র জগতের দুই প্রথম সারির প্রযোজকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতেই  নাকি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়েছেন।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী লেখেন, “একাধিক অভিযোগ প্রকাশ্যে আসছে। আমার সঙ্গে আমার চেনা পরিচিতর সঙ্গেও এমনটা হয়েছে। নোংরা মন ও ব্যবহার নিয়ে নায়ক/প্রযোজক/পরিচালক দিনের পর দিন কাজ করে চলেছে। কোনও সমস্যাও হচ্ছে না। আবার আর জি করের নির্যাতিতার বিচার চেয়ে তাঁদের মোমবাতি হাতেও দেখা যাচ্ছে। আসুন এইসব মানুষদের মুখোশ টেনে ছিঁড়ে ফেলি। আমি আমার সমস্ত অভিনেত্রীদের এদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ডাকছি। আমি জানি অনেকেই ভয় পাচ্ছেন যে আর কখনও কাজই পাবেন না। কিন্তু আর কতদিন এভাবে চুপ করে থাকবেন? নতুন যাঁরা কাজ করছে আমরা পুরনোদেরকেই তো তাঁদের বাঁচাতে হবে। নাহলে তাঁদের ধারণা হয়ে যাবে এটা গণিকালয়! মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, আমরা এই বিষয়ে আপনার হস্তক্ষেপ চাই।'