সহজ পাঠের সেঞ্চুরির গর্জন, বাঁধভাঙা আবেগ দেখল শেষমেশ নন্দন
রণিতা গোস্বামী
রণিতা গোস্বামী
পিচটা ব্যাট করার জন্য বিশেষ সুবিধাজনক ছিল না। সেই পিচেই খেলতে নেমেছিলেন পরিচালক মানস মুকুল পাল। পরিচালকের অদম্য ইচ্ছে ও পরিশ্রমকে সঙ্গী করেই শতরান হাঁকাল 'সহজ পাঠের গপ্পো'। এখানেই শেষ নয়। সেঞ্চুরি হাঁকানোর পরেও এখনও ঝড়ো ব্যাটিং চালিয়ে যাচ্ছে সিনেমাটি। ১৬ ডিসেম্বর (শনিবার) সিনেমাটির ১০০দিনেও নন্দনে উপচে পড়ল ভিড়। সিনেমাপ্রেমীদের উন্মাদনা দেখে মনে হচ্ছিল সদ্য মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। কেউ কেউ তো পাঁচ-ছ'বার দেখার পরও আবারও এসেছেন ছবিটি দেখতে।
আর সিনেমার প্রধান দুই ক্ষুদে তারকা নূর, সামিউল এবং স্নেহা কিন্তু এদিনও ছিল নিরুত্তাপ। ক্যামেরা ফ্ল্যাশ কিংবা তাঁদের ঘিরে হল ফেরত দর্শকদের উচ্ছ্বাস কোনও কিছুই বিভ্রান্ত করতে পারেনি তাঁদের সরলতাকে। বোঝাই গেল সাফল্য তাঁদেরকে সাধারণ থেকে তারকা বানালেও পা এখনও মাটিতেই আছে। এখনও আরোও অনেক পথ চলতে তৈরি তাঁরা। এক বৃদ্ধ, মুগ্ধ দর্শক ছোটুকে সামনে পেয়ে যখন আবেগে জড়িয়ে ধরলেন, তখন হয়ত নূর মনে মনে ভাবছিল 'মানসকাকু এ কোথায় নিয়ে এল'! প্রথমে নাকি এই মানস মুকুলকেই ছেলেধরা ভেবে নূরকে পরিচালকের কাছে ছাড়তে চাননি তাঁর বাড়ির লোক। ৭-৮মাস নূর ও সামিউলকে নিজের বাড়িতে রেখে তাদেরকে তিলে তিলে কী গড়েছেন তা বুঝিয়ে দিয়েছে জাতীয় পুরস্কার।
তবে 'সহজ পাঠের গপ্পো' ১০০দিনের সেলিব্রেশন জমিয়ে হল এবং তা হল সেই নন্দন প্রেক্ষাগৃহেই , যে নন্দন কিনা ১০০ দিন আগে এই ছবিকেই হেলায় ফিরিয়েছিল। সময় বদলেছে। পরিচালক মানস মুকুল পাল ও তাঁর টিম বুঝিয়ে দিয়েছে 'সহজ পাঠের গপ্পো' কিন্তু মোটেও সহজ নয়, তাঁর মধ্যে রয়েছে আরোও অনেক রসদ, সিনেমার গভীরতা। সিনেমা তৈরির কঠিন ব্যাকরণে নয়, সহজ ভাবে গল্প বলার জন্যও দক্ষতা লাগে বৈকি! বিভূতিভূষণের 'তালনবমী'র গ্রাম বাংলা 'সহজ পাঠের গপ্পো'র হাত ধরেই নন্দনকে আজ 'পাঠ' শেখালো। বুঝিয়ে দিল সিনেমাটির যোগ্যতা কতটা। তাই শেষ হাসিটা হাসল টিম সহজ পাঠের গপ্পো।
এদিন সিনেমাটির ১০০দিনের সেলিব্রেশনে উপস্থিত ছিলেন অনেকেই।
তবে এখানেই শেষ নয়, পরিচালক ও তাঁর টিমকে নিয়ে দর্শকদের প্রত্যাশার পারদ চড়েছে। তাই পরবর্তী ম্যাচে সিনেমাপ্রেমীরা আরও বড় স্কোর দেখতে চাইছেন তাঁদের কাছে।
২৪ ঘণ্টার তরফেও 'সহজ পাঠের গপ্পো'র ১০০ দিনে পরিচালক ও তাঁর টিমের জন্য রইল অনেক শুভেচ্ছা।
আরও পড়ুন-