সইফের সঙ্গে করিনাকে দেখে কষ্ট পেয়েছিলেন শাহিদ?
তাঁদের মধ্যে ঠিক কী নিয়ে সমস্য তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এটেঁছিলেন দুজনেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: একসময় বি-টাউনে শাহিদ-করিনার প্রেমে বহু চর্চিত বিষয় ছিল। একে অপরের প্রেমে হাবুডুবু খেতেন শাহিদ-করিনা। একে অপরের প্রতি ভালোবাসার কথা কোনওদিনই লুকনোর চেষ্টা করেননি কেউ। এমনকি শাহিদের জন্য মাছ-মাংস ছেড়ে নিরামিষাশীও হয়ে গিয়েছিলেন 'ফুডি' করিনা। খুব শীঘ্রই বিয়ে করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন। তবে হঠাৎই তাঁদের সেই সম্পর্ক ভেঙে যায়। 'জব উই মেট'-এর শ্যুটিং চলাকালীনই একে অপরের জীবন থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে তাঁদের মধ্যে ঠিক কী নিয়ে সমস্য তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এটেঁছিলেন দুজনেই।
আরও পড়ুন-লেক কোমোয় একান্তে ছুটি কাটিয়ে ফিরলেন রণবীর-আলিয়া, বিয়েটা কি ইতালিতেই হচ্ছে?
যদিও শাহিদ-করিনার সম্পর্ক ভাঙার পিছনে শোনা যায় অনেক কথাই। কেউ বলেন সহ অভিনেত্রী অমৃতা রাওয়ের সঙ্গে শাহিদের ঘনিষ্ঠতা মেনে নিতে পারেননি করিনা। অন্যদিকে করিনার অত্যাধিক ধরে-বেঁধে রাখা পছন্দ হচ্ছিল না শাহিদের। শাহিদ-করিনার এই দূরত্বের ফাঁকে ঢুকে পড়েছিলেন সইফ আলি খান। এইরকমই তাঁদের সম্পর্ক ভাঙার কারণ হিসাহে শোনা যায় অনেক কথাই।
যদিও বর্তমানে শাহিদ ও করিনা দুজনেই তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে অনেক সুখী। শাহিদ জমিয়ে সংসার করছেন মীরা রাজপুত ও তাঁদের দুই সন্তানের সঙ্গে। আবার করিনাও সইফ ও তাঁদের সন্তান তৈমুরকে নিয়ে ভীষণ খুশি। সে যাই হোক সম্পর্ক ভাঙার পর 'প্রক্তন' করিনাকে সইফের সঙ্গে দেখে কি কষ্ট পেয়েছিলেন শাহিদ? সম্প্রতি শাহিদের দেওয়া পুরনো একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে শাহিদকে বলতে শোনা গিয়েছে, '' আমি যদি বলি আমার কিছুই যায় আসেনি, তাহলে মিথ্যা বলা হবে। আদপে আমিও তো মানুষ। করিনাকে সইফে সঙ্গে দেখে বা এধরনের খবরে আমারও কষ্ট হয়েছিল। যদিও তখন আমার কিছু করার ছিল না। আমাকে বস্তবের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই হতো। এর মুখোমুখি হতেই হতো। আমি শুধুই ভালো স্মৃতিগুলোই মনে রাখতি পারি এবং ভালো থাকার চেষ্টা করতে পারি। ''
আরও একটি সাক্ষাৎকারে শাহিদ জানিয়েছিলেন, '' টানা একটি মাস ভীষণ কষ্টের মধ্যে কেটেছিল। আমার কাছে দুটোই অপশান ছিল। এসব থেকে বেরিয়ে আসা। আর মিডিয়ার সামনে এসব নিয়ে কোনও কথা না বলা। এসমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে আমার যে কষ্ট হতো সেটা এড়িয়ে চলার জন্য শুধুমাত্র সিনেমার (জব উই মেট) প্রচারে মন দেওয়া। যখন এটা ঘটেছিল তার তিন সপ্তাহের মধ্যে ছবিটি (জব উই মেট) মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল।''
বিচ্ছেদের অনেক পরে গিয়ে করিনাক সঙ্গে 'উড়তা পঞ্জাব' ছবিতে অভিনয় করা প্রসঙ্গে শাহিদ বলেন, ''সবকিছু ভুলে এই ছবিতে কাজ করা আমার প্রয়োজন ছিল বলে আমার মনে হয়েছে। কারণ ছবিতে ( উড়তা পঞ্জাব) আমার চরিত্রটা ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আবারও করিনার সঙ্গে কাজ করা ভীষণই অস্বস্তিকর ছিল। তবে অভিনয়টা আমার পেশা সেটা মেনে নিয়েই কাজ করি। ''
আরও একটি সাক্ষাৎকারে শাহিদ বলেন, ''আমাদের সম্পর্ক ভাঙার বিষয়টা প্রকাশ্য বলার কিছু নয়, এটা একান্তই দুইজন ব্যক্তির বিষয়। সকলের এটা নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকলেও কিছু করার নেই। ''
আরও পড়ুন-নাগরিকত্ব বিতর্কে পাশে দাঁড়িয়েছেন অনুপম, ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না আক্কি
শাহিদের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে করিনা এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ''আমাদের সম্পর্কটা হয়ত সেই পর্যায়ে ছিল না। এটা এক্কেবারেই আমার কেরিয়ারের শুরু দিকের ঘটনা। একটা ছবিতে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে আমরা একে অপরের প্রেমে পড়ি। আমরা বন্ধুর থেকে হয়ত একটু বেশিই এগিয়েছিলাম সেটা ঠিক। এক্কেবারেই অল্পবয়সের সম্পর্কের মতোই ছিল আমাদের সম্পর্কটা। একসঙ্গে সিনেমা দেখা,বেড়াতে যাওয়া, এইরকমই। আমরা লুকিয়ে লুকিয়ে একে অপরে সঙ্গে সিনেমা দেখতে যেতাম। শাহিদের সঙ্গে থাকতে আমার বেশ ভালোই লাগতো। ''
শাহিদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর কাজ করাটা কি অস্বস্তিকর ছিল? এপ্রশ্নের উত্তরে করিনা বলেছিলেন, '' এধরনের একটা অস্বস্তিকর মানসিক অবস্থার মধ্যে শ্যুটিং করা সত্যিই কঠিন তবে কাজটা কাজই সেখানে ব্যক্তিগত জীবনের প্রভাব পড়া উচিত নয়। কাজের মধ্যে এনিয়ে কোনও কথা কেউই বলতেন না। ''