Pori Moni-Sariful Raaz: ‘কী হচ্ছে, জানি না, সারারাত ঘুমাইনি’ পরীমণির অভিযোগের পর মুখ খুললেন রাজ
Sariful Razz on Pori Moni Allegation: পয়লা জানুয়ারি ছেলে রাজ্যর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন ও ছেলের উদ্দেশ্যে তাঁর ভালোবাসার কথা জানান রাজ, তবে সেখানে পরীর কোনও উল্লেখ করেননি। বারংবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাঁকে ফোনে ধরা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন অভিনেতা।
Pori Moni, Sariful Raaz, জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রবিবার সকালে রাজের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হন পরীমণি। রাজ তাঁকে মারধর করেন এমন অভিযোগও তিনি করেন। এমনকী পোস্ট করেন রক্তাক্ত বিছানারও। পরীমণি জানিয়ে দেন যে কোনওভাবেই রাজের সঙ্গে থাকা আর সম্ভব নয়। তবে এই ব্যাপারে একটি কথাও বলেননি শরিফুল রাজ। তিনি পয়লা জানুয়ারি ছেলে রাজ্যর সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন ও ছেলের উদ্দেশ্যে তাঁর ভালোবাসার কথা জানান রাজ, তবে সেখানে পরীর কোনও উল্লেখ করেননি।
আরও পড়ুন- Ritabhari Chakraborty: ‘সাম্য’ গড়তে চেয়ে ট্রোলড, সপাটে জবাব ঋতাভরীর
বারংবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাঁকে ফোনে ধরা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে নীরবতা ভাঙলেন অভিনেতা। তিনি জানান, ‘আমি আসলে এসব ইস্যুতে কিছুই বলতে চাই না। কী হচ্ছে, এসবের কিছুই আমি জানিও না। জানতেও চাই না। আমি বাসায় আছি। সারা রাত ঘুমাইনি। এখন ঘুমাচ্ছি, ঘুমানোর চেষ্টা করছি।’ অন্যদিকে রবিবার পরীমণি বলেন, ‘একটা সম্পর্কে পুরোপুরি সিরিয়াস বা খুব করে না চাইলে একটা মেয়ে বাচ্চা নেওয়ার মতো এত বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে না কখনই। আমার জীবনের সবটুকু চেষ্টা যখন এই সম্পর্কটাকে ঠিকঠাক টিকিয়ে রাখা তখনই আমাকে পেয়ে বসা হলো। যেন, শত কোটি বার যা ইচ্ছে তাই করলেও সব শেষে ওই যে আমি মানিয়ে নেই এটা রীতিমতো দারুণ এক সাংসারিক সুত্র হয়ে দাঁড়াল।’
আরও পড়ুন-Sara Ali Khan-Kartik Aryan: নতুন বছরে মিটেছে দূরত্ব, ফের কাছাকাছি কার্তিক-সারা!
তিনি আরও বলেন, ‘আমি জোর দিয়ে বলতে পারি আমাদের এই সম্পর্ক এত দিন আমার এফোর্টে টিকে ছিল শুধু। কিন্তু বারবার গায়ে হাত তোলা পর্যায়ে পৌছালে কোন সম্পর্কই আর সম্পর্ক থাকেনা। স্রেফ বিষ্ঠা হয়ে যায়। রাজ্যের দিকে তাকিয়ে বার বার সব ভুলে যাই। সব ঠিক করার জন্যে পড়ে থাকি। কিন্তু তাতে কি আসলেই আমার বাচ্চা ভালো থাকবে! না । একটা অসুস্থ সম্পর্ক এত কাছে থেকে দেখে দেখে ও বড় হতে পারে না। তাই আমি, রাজ্য এবং রাজের মঙ্গলের জন্যেই আলাদা হয়ে গেলাম। রাজ এখন শুধু আমার প্রাক্তন’ই না,আমার ছেলের বাবাও। তাই রাজ্যের বাবার সন্মান রাখতে পাবলিকলি আর বাকি কিছু বলছি না আমি। তবে আমার উপর তার আর তার পরিবারের কোন অসুস্থ আচরণ বা হার্মফুল কিছু করার চেষ্টা করলে আমি কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হব। সম্মানিত গণমাধ্যমকর্মী যারা রয়েছেন আপনারা নিশ্চই আমার মানসিক অবস্থা বুঝতে পারবেন আশা করছি। আমাকে একটু সময় দিন। শারীরিক ভাবেও আমি বিধ্বস্ত। রাজ্য তার বাবা মাকে একসাথে নিয়ে বড় হতে পারলো না এর থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে আমার কাছে!’