সত্যজিতের করা আমার সব চেয়ে প্রিয় ছবি গুপী গাইন বাঘা বাইন
২ মে সত্যজিৎ শতবর্ষ। শতবর্ষে ক্যামেরার ভিতর দিয়ে লুক থ্রু করলেন সত্যজিতের অন্যতম সিনেম্যাটোগ্রাফার।
সৌমেন্দু রায়, সিনেম্যাটোগ্রাফার
১৯৫৪ সালে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে প্রথম পরিচয়। এই একই সময়ে বংশীচন্দ্র গুপ্তের সঙ্গেও আলাপ-পরিচয়। যাই হোক, আমি তো সত্যজিতের প্রথম ছবি থেকেই ওঁর সঙ্গে জড়িত। 'পথের পাঁচালী'তে সুব্রত মিত্রের সহকারী হিসবে কাজ করেছি। সেই বোড়ালের দিনগুলির কথা ভারী মনে পড়ে। তবে এখন আমার আর সত্যিই বয়সের কারণে অনেক কিছু মনেও পড়ে না। ভুলে যাই। তবে একটা খুব সাধারণ ব্যাপার খুব মনে আছে। পথের পাঁচালী-পর্বে সত্য়জিৎ আর বংশীচন্দ্রকে দেখতাম ঢোলা সাদা পাঞ্জাবি আর পাজামা পরতে। লম্বা মানুষটা ধবধবে সাদা পাজামা-পাঞ্জাবি করে সেটে ঘোরাঘুরি করছেন আর ডিরেক্ট করছেন, খুব মনে পড়ে।
আরও পড়ুন: সত্যজিৎ শতবর্ষ: সত্যজিতের কাজের সব চেয়ে বড় কথা হল ওঁর টোটাল ডিসিপ্লিন
তবে, একেবারে স্বাধীন ভাবে সত্য়জিতের (satyajit ray) সঙ্গে আমার কাজ শুরু ১৯৬১ সালে। সেটা রবীন্দ্র শতবর্ষও। সেই সময়ে রবীন্দ্রনাথের (rabindranath tagore) উপর একটি তথ্যচিত্র তুললেন সত্য়জিৎ; আর করলেন 'তিনকন্যা' ছবিটি। এগুলোতে কাজ করে খুবই আনন্দ পেয়েছি।
শধু আনন্দই নয়। সত্যজিতের সঙ্গে কাজ করে শিখেছি অনেক। প্রথমত তো ওঁর কাছেই প্রথম শিখলাম ফিল্মের সহজ ভাষা। শিখলাম টেকনিক, কম্পোজিশন। ওঁরর সঙ্গে ১৫টি ছবি করেছি। শর্ট ফিল্ম করেছি, ডকুমেন্টারিও করেছি। এখন ভাবি, যদি আরও কাজ করতাম, আর শিখতাম।
যেহেতু ওর অধিকাংশ কাজের সঙ্গেই যুক্ত থেকেছি, তাই আলাদা করে ওঁর ছবি নিয়ে কিছু বলা আমার পক্ষে কঠিন। তবে এটুকু বলতে পারি, ওঁর করা ছবির মধ্যে আমার সব চেয়ে প্রিয় 'গুপী গাইন বাঘা বাইন'।
আরও পড়ুন: সত্যজিৎ আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সূর্য ছিলেন, অন্যদের আলোকিত করেছিলেন তিনি