দিশার মৃত্যু ২দিন পর এসেছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট,তদন্তের জন্য কিছুই সংরক্ষণ করা হয়নি!

নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয় তাঁর প্রাক্তন ম্যানেজার দিশা সালিয়ানের। মালাড ১৪ তলার ফ্ল্যাট থেকে পড়ে মৃত্যু হয় দিশার। মুম্বই পুলিস দিশার মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলেই দাবি করেছিল। অভিযোগ, দিশার পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ না থাকায়, আলাদা করে এই মুৃত্যুকে কোনও গুরুত্বই দেয়নি মুম্বই পুলিস। তবে সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে দিশার মৃত্যুর যোগ রয়েছে, আর এই দুই মৃত্যুর কোনওটিই আত্মহত্যা নয়, দুজনকেই খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকেই। এসমস্ত আলোচনার মাঝেই দিশার মৃত্যু নিয়ে সামনে উঠে এল নতুন তথ্য।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, জানা যাচ্ছে, দিশার মৃত্যুর ২ দিন পর এসেছিল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। অভিযোগ, অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়া সত্ত্বেও এই রিপোর্ট পেতে কোনও আগ্রহই দেখায়নি মুম্বই পুলিস। যেখানে দিশার মৃত্যু হয়েছিল, সেখানে কোনও ফরেন্সিক দল পাঠানো হয়নি। পরবর্তী ফরেন্সিক পরীক্ষা বা তদন্তের প্রয়োজনে দিশার পরিহিত পোশাকও সংরক্ষণ করা হয়নি। দিশার নোখের কোনও অংশও সংরক্ষিত করা হয়নি। দিশার ফোনের সমস্ত তথ্য পুনরুদ্ধারের জন্য ৪ দিন পর পাঠানো হয়েছিল, যদিও সেটা এখনও সম্পন্ন হয়নি। যে স্থানে দিশার মৃত্যুর হয়েছিল সেই জায়গাটিও সিল করেনি মুম্বই পুলিস। এমনকি দিশার মৃত্যুর পর কোনও ছবিও তুলে রাখা হয়নি বলে অভিযোগ।  এদিকে দিশার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুসারে দিশার মাথা ও শরীরের একাধিক অংশে অস্বাভাবিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

 এদিকে সম্প্রতি, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা নারায়ণ রানে দাবি করেন, দিশার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রসঙ্গত, বুধবারই মুম্বই পুলিসের তরফে দিশ সালিয়ানের মৃত্যু নিয়ে জনতার কাছে সাহায্য চাওয়া হয়। মুম্বই পুলিসের ডেপুটি কমিশনার (জোন-১১) বিশাল ঠাকুর বলেন, আমরা বলতে পারছি না দিশা কীভাবে পড়ে গিয়েছিলেন। তদন্ত চলছে। অনেক মানুষ সালিয়ানকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক তথ্য শেয়ার করছেন। তাঁদের কাছে অনুরোধ করছি এই মামলার সঙ্গে জড়িত কোনও উল্লেখযোগ্য তথ্য কারোর জানা থাকলে তাঁরা দয়া করে সেটা মুম্বই পুলিসকে জানান। তাহলে সঠিকভাবে তদন্ত হতে পারে।''